মাত্র একদিন আগে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু। সেই সাথে অল্প কিছু আগে চালু হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওপর নতুন এই তিনটি সেতু নির্মাণের সুফল পেতে শুরু করেছে কুমিল্লাবাসী।
এর আগে ঢাকা থেকে কুমিল্লা এই ৯৭ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগতো ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। বর্তমানে এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে মাত্র দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
সেতু চালু হওয়ার পর গতকাল শনিবার (২৫ মে) ছুটির দিন থেকে আজ রোববার (২৬ মে) পর্যন্ত মহাসড়কে কোন যানজট নেই। এতে ঘুরমুখো যাত্রী, চালক, পরিবহন মালিকেরা খুশি। গতকাল শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুটি সেতুর উদ্বোধন করেন।
গাড়ির চালকেরা বলছেন, এই পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা লাগার কথা। দেড় ঘণ্টায়ও যাওয়া যায়। কিন্তু তিনটি নদীর ওপর এত দিন দুই লেনের একটি করে সেতু থাকার কারণে কুমিল্লায় যেতে কত সময় লাগবে, তা কেউই বলতে পারতেন না। মেঘনা ও গোমতী সেতুতে ওঠার আগে টোল প্লাজায় আটকা পড়তে হবে কিনা, এমন আশঙ্কা নিয়েই যাত্রা শুরু করতেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা বলছেন, মাত্র দেড় ঘণ্টায় আমরা ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে পারছি। রাস্তা ফাঁকাই বলা চলে।’ আশ্রাফপুর বাস টার্মিনালে রয়েল কোচের যাত্রী আলতাফ হোসেন, আতিকুর রহমান ও সালমা বেগম বলেন, আজ ঢাকা থেকে আসতে সব মিলে তাদের এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট লেগেছে। তাঁরা বলেন, তাদের খুবই ভালো লাগছে।
কুমিল্লা থেকে দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত যেতে সময় লাগে এখন ৪৫ মিনিট। বাকি ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছা যায়। ৯৭ কিলোমিটারের ভাড়া আসে ২০৩ টাকা। আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছি ২০০ টাকা করে। ভাড়া কমবে না। যাত্রীরা আরামে আসবে। দূরত্ব তো কমেনি।