বিশ্বকাপে পাক-ভারত ম্যাচে রাজনৈতিক বার্তা!

কাশ্মীর হামলার জেরে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাচ বয়কটের দাবি জানিয়েছিল ভারত। তবে আইসিসিকে সম্মত করতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। ফলে আসন্ন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে সরফরাজদের বিপক্ষে খেলতেই হচ্ছে কোহলিদের।

আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে পর্দা উঠবে বিশ্ব আসরের। আর ১৬ জুন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হবে ইন্দো-পাক মহারণ। আপাতত দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর আসন্ন লড়াইয়ে রাজনীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে!

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। ছয়বার খেলে প্রতিবারই হেরেছে। এবার ইতিহাস পাল্টাতে চান সরফরাজরা। আবার ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান কোহলিরা। সঙ্গত কারণে জয় চায় উভয় দলই। এর সঙ্গে থাকবে রাজনীতির সংযুক্তি।

ক্রিকেট ইতিহাসবিদ বরিয়া মজুমদার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, বিশ্বকাপে সবসময় ফাইনালের আগে আরেকটি ফাইনাল বলে বিবেচিত হয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। কারণ, মানুষ এর সঙ্গে রাজনীতি মিশিয়ে ফেলে। এবারের ম্যাচটিও ব্যতিক্রম নয়।

ক্রিকেট ও রাজনীতির মিশ্রণ নতুন কিছু নয়। ২০০৩ বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিম্বাবুয়েতে রবার্ট মুগাবের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ সেই আসরে কালো আর্মব্যান্ড পরেছিলেন দলটির তখনকার দুই সুপারস্টার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও হেনরি ওলাঙ্গা।

মজুমদার বলছেন, যখন আপনি মাঠে জাতীয় সংগীত গাইছেন, তখন সেটি জাতীয়তাবাদকে জাগিয়ে তোলে। এটি পক্ষান্তরে রাজনৈতিক বার্তা।

তিনি জানান, ওই বিশ্বকাপের সময় মুগাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রত্যাহারে আহ্বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। সেই জেরে নিরাপত্তা শংকায় হারারেতে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে যেতে অস্বীকৃতি জানায় ইংল্যান্ড। কারণ, ওই সময় আফ্রিকার দেশটির একাংশ মুগাবের বিপক্ষে ফুঁসে উঠেছিল।

সবশেষ কাশ্মীরের পুলওয়ামা কাণ্ডে পাকিবিরোধী প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেনা টুপি পরে খেলেন কোহলিরা।

মজুমদার বলছেন, আসন্ন ম্যাচে দুই দলের ওপরই চাপ থাকবে। ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

সম্প্রচারকরা ফাইনালের আগে এটিকে ফাইনাল হিসেবে নিচ্ছে। প্রতিটি খেলোয়াড় খুব ভালো করেই জানে, এটি আলাদা খেলা। জাতীয় হিরো হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।

শেয়ার করুন: