লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশসেবার এক দৃষ্টান্ত দেখাতে নিজের নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি যুক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ভোটে জয়ের পরপরই দেখা গেলো উল্টো চিত্র। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বার দিল্লির মসনদ নিশ্চিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিজের ট্যুইটার প্রোফাইল থেকে ‘চৌকিদার’ শব্দটি সরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার এ ধরণের কাণ্ডে রীতিমতো হতবাক হয়েছেন অনেকেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বার দিল্লির মসনদ নিশ্চিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিজের ট্যুইটার প্রোফাইল থেকে ‘চৌকিদার’ সরিয়ে নিলেন তিনি।
গত মার্চে ‘ম্যা ভি চৌকিদার’ প্রচার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, এটা তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। এক টুইটে তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে চৌকিদার স্পৃহা নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কাজেই এই চেতনা সর্বদা জাগ্রত রেখে ভারতের অগ্রগতির জন্য তিনি কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
‘ভারতীয় জনগণ চৌকিদার হয়েছেন এবং দেশকে তারা ব্যাপক সেবা দিয়েছেন। বর্ণপ্রথা, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অশুভ প্রভাব থেকে ভারতের রক্ষাকবচের প্রতীক হচ্ছে চৌকিদার।’
‘আমিও চৌকিদার’ প্রচারের অংশ হিসেবে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে নামের সঙ্গে চৌকিদার শব্দটি যোগ করে দিয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিজেপি প্রধান অমিত শাহ ও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও একই পথ অবলম্বন করে নামের আগে এই উপসর্গ যোগ করেছিলেন।