ভূমধ্যসাগর

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবি: দেশে ফিরেছেন বেঁচে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশি

ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্দেশে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণে দেশে ফিরেছেন বেঁচে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশি। সুখের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে যাওয়ার পথ বেছে নেয় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি। প্রায়ই অনেকে সমুদ্রে ডুবে নিহত হন।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১২ বিমানযোগে দেশে পৌঁছান তারা।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে খবরটি নিশ্চিত করেছে।

লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, লিবিয়া হয়ে দুটি নৌকায় ইতালি যেতে চেয়েছিলেন অভিবাসী প্রত্যাশীরা। একটি নৌকায় প্রায় ৫০ এবং অন্যটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিল। ওই দুটি নৌকা গত ৯ মে রাতে একই সময়ে যাত্রা শুরু করে। তবে একটি নৌকা নিরাপদে ইতালি পৌঁছালেও অন্যটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশিকে জীবিত এবং এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম উত্তম কুমার। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়।

এর আগে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় কতজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাননি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৪ জনের সবাই বাংলাদেশি।

এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই। যেহেতু ৩৭ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে একটি বড় নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেন ৭৫ অভিবাসী। যার মধ্যে ৫১ জন ছিলেন বাংলাদেশি। গভীর সাগরে তাঁদের বড় নৌকা থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়। এতে ৬৫ জন প্রাণ হারান।

ডুবে যাওয়াদের মধ্যে ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। পরে সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।

শেয়ার করুন: