ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ভারতের জাতীয় লোকসভা নির্বাচনের সকল ধাপ। বুথফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে প্রায় সকল দিক থেকেই বিজেপির জয়ের চিহ্ন। আগামী ২৩ মে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে। তবুও মমতা আশা করছেন, নির্বাচনে হারছেন মোদি।
লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দুই রকম স্বপ্ন ছিল মমতার। এক. তাঁর দল এবার পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনই জিতবে। দুই. প্রধানমন্ত্রী হওয়ার।
মমতার ধারণা ছিল, এবার রাজ্যপাট থেকে বিরোধীরা একটি আসনও পাবে না। আর দিল্লিতে গঠিত হবে জনগণের সরকার। আর সেই সরকার গড়ার প্রধান কারিগর হবেন মমতা নিজে।
আর এই লক্ষ্যে মমতার দলের নেতা থেকে মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কেরা একযোগে মাঠে নেমে স্লোগান তুলেছিলেন, ভারত এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পাবে। মমতার হিসাব ছিল, এবার বিজেপি উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ওডিশা, অন্ধ্র প্রদেশে তেমন আসন পাবে না। ফলে, সরকার গড়ার সুযোগ আসবে মমতার প্রস্তাবিত ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ জোটের।
এই জোটের কোনো শরিক দল ৪২ আসন পাবে না। সেই নিরিখে শীর্ষে থাকবে মমতার দল তৃণমূল। ফলে, এই ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সরকার গড়তে গেলে বড় দল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ আসবে মমতার।
অন্যদিকে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জঙ্গিপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখার্জি, রায়গঞ্জে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ও কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সী, মুর্শিদাবাদে সিপিএম প্রার্থী সাংসদ বদরুদ্দোজা খান, বালুরঘাটে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ,
বারাকপুর বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং, আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, কলকাতা উত্তরে বিজেপির রাহুল সিনহা, মেদিনীপুরে তৃণমূলের মানস ভূঁইয়া, বাঁকুড়ায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, উত্তর মালদহে কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নূর, বিজেপির অভিনেতা প্রার্থী জয় মুখোপাধ্যায় পরাজিত হতে পারেন।
জয় পেতে পারেন ছয় চিত্রতারকা। এঁরা হলেন হুগলিতে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, আসানসোলে তৃণমূলের মুনমুন সেন, বীরভূমে তৃণমূলের শতাব্দী রায়, বসিরহাটে তৃণমূলের নুসরাত জাহান, যাদবপুরে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী এবং ঘাটালে অভিনেতা দেব।