দাড়ি রাখা, টাখনুর উপরে কাপড় নিয়ে মন্তব্যঃ পীযূষকে গ্রেফতার না করলে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে

আগ্রহ প্রকাশ করাকে জঙ্গিবাদের লক্ষণ বলে শনাক্ত করায় পীযূষকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক এ উগ্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক উগ্র সংগঠনের বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হওয়ায় ৯৫ শতাংশ মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পীযূষ নিজের দায় এড়াতে বানোয়াট বাহানা অবলম্বন করলেও জাতি তা মেনেম নেবে না।

মাওলানা আতাউল্লাহ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক একটি ভুঁইফোড় সংগঠন এতগুলো জাতীয় দৈনিকে এত বড় বিজ্ঞাপন কারো ইন্ধন ছাড়া ছাপতে পারে না।

পীযূষকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেই এর আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। কিছু উগ্রবাদী হিন্দু সর্বদাই উসকানি দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

গতকাল বাদ জুমা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা চৌরাস্তায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মাওলানা মাসউদুর রহমান প্রমুখ।

মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যারা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা করে তাদের শাস্তির জন্য সংসদে আইন পাস করতে হবে।

পবিত্র ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য সংবলিত বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নিজেদের অসতর্কতার পরিচয় দিয়েছে এবং এদের প্রতি জনগণের ঘৃণ্য মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।

মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলাম, প্রিয়নবীর সুন্নত ও ঈমান-আমল নিয়ে বেয়াদবি করবে আর মুসলমানরা নীরবে সহ্য করবে তা হতে পারে না।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মিটিয়ে দেয়া, চীনে রোজা রাখার অপরাধে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন এবং শ্রীলঙ্কার মসজিদে মসজিদে হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।

শেয়ার করুন: