৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে মেরে পেট কেটে শিশুকে বের করে নিল মা-মেয়ে!

৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে খুন। এরপর তার গর্ভ থেকে কেটে বের করে নেওয়া হল শিশুকে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

শেষবার যখন মারলেন ওকোয়া-লোপেজকে দেখা গিয়েছিল, তখন তিনি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শিকাগোর অল্টারনেটিভ হাই স্কুল থেকে বিকেল ৩টে নাগাদ নিজের কালো হন্ডা সিভিকে নিজেই ড্রাইভ করে বেরিয়েছিলেন ১৯ বছরের এই কন্যা।

দিনের শেষে পরিবারের কাছে ফোন আসে যে তিনি ডে-কেয়ার থেকে ৩ বছরের ছেলেকে নিতে যাননি। তাঁর ফোন থেকে স্বামীর ফোনে একটি মেসেজ গিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, তিনি খুব ক্লান্ত। তাই আর গাড়ি চালাতে পারছেন না। এরপর বেমালুম উধাও হয়ে যান মারলেন।

এরপর একমাস কেটে যায়। তাঁর প্রসবের সময় পেরিয়ে যায়। মেয়ের খারাপ পরিণতির আশঙ্কায় বুক কেঁপে ওঠে পরিবারের। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার যাবতীয় চেষ্টা চালাতে থাকে তারা। বুধবার সামনে আসে চরম সত্যিটা।

ওকোয়া-লোপেজদের বাড়ির সামনেই একটি আবর্জনার বিন থেকে উদ্ধার করা হয় মানব দেহাংশ। পুলিশের বক্তব্য মৃতদেহের গর্ভ থেকে ছিঁড়ে বের করা হয়েছে শিশুকে।

মেডিক্যাল পরীক্ষার পর দেখা যায় দেহাংশটি মারলেনের। তাকে দড়ির ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। মৃত্যুর পর গর্ভ থেকে শিশুটিকে কেটে বের করে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ৪৬ বছরের ক্ল্যারিস্কা ফিগুয়েরো এবং তার কন্যা ২৪ বছরের ডেসিরির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বাচ্চাদের জিনিসপত্র ক্ল্যারিস্কার থেকে কিনতেন মারলেন। সেই থেকেই দু জনের মধ্যে পরিচিতি। যে দিন মারলেন নিখোঁজ হয়েছিলেন, সে দিন তাঁদের দু জনের ফেসবুকে কথা হয়েছিল।

কিছু জিনিসপত্র নিকে ক্ল্যারিস্কার বাড়িতে গিয়েছিলেন মারলেন। সেখানেই তাঁকে খুন করে তাঁর গর্ভ থেকে শিশুকে কেটে বের করে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।

শেয়ার করুন: