স্লিভলেস নীল রঙা গাউনের সঙ্গে মানানসই নেকপিস। চোখে নীল রোদ চশমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই তরুণী কে জানেন? ইনি এক জন পোলিং অফিসার। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি মধ্যপ্রদেশের গোবিন্দপুরার বুথে কর্তব্যরত ছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তরুণীর ছবি পোস্ট হতেই সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল, ফেসবুকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধে ছয়লাপ, লোকসভা ভোটের বাজারে ‘ইন্টারনেট সেনসেশন’ হয়ে উঠেছেন এই তরুণী পোলিং অফিসার।
এই তরুণী পোলিং অফিসারের নাম যোগেশ্বরী গোহিত। তিনি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দা। ভোপালের কানাড়া ব্যাঙ্কের অফিসার যোগেশ্বরী। তার ফেসবুক বলছে ২০১১ সালে কানাড়া ব্যাঙ্কে যোগ দেন তিনি। তার এক বছর পর, ২০১২ সালে বিয়ে করেন।
রবিবার ভোটের দিন গোবিন্দপুরার বুথে এসে পৌঁছন যোগেশ্বরী। বুথের বাইরে নীল গাউন আর রোদ চশমা পরে, হাতে একটি ব্যালট ইউনিট নিয়ে তাঁর এই ছবি তোলেন সাংবাদিকরাই।
পোলিং অফিসার মানেই সাধারণত শাড়ি বা সালোয়ার পরবেন— এই ধারনা যেন মুহূর্তে ভেঙে ফেলেছেন তিনি। তাই সাংবাদিকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছিলেন।
সে দিনই সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলেন। কর্তব্যরত থাকায় তিনি ভোট সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জানিয়েছিলেন, তিনি ভোটের ডিউটিতে রয়েছেন, তাই কথা বলবেন না। তবে হাসিমুখে সমস্ত সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় করেছেন।
কিন্তু সাংবাদিকরা তার ছবি ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর ছবি ভাইরাল। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টিকটক, সর্বত্রই এখন ছেয়ে গিয়েছেন এই পোলিং অফিসার।
ফেসবুকে প্রতি মুহূর্তে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাচ্ছেন তিনি। বাড়ির বাইরে, কর্মক্ষেত্রে, আত্মীয়-পরিজনের কাছে এখন তিনি সেলিব্রিটি।
যোগেশ্বরী জানালেন, ‘সবাই নিজস্বী তুলতে চাইছে। মিনিটে মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পাচ্ছি। এ বার দেখছি প্রোফাইল আর পাবলিক রাখা যাবে না, লুকোতে হবে...।’
যোগেশ্বরীর একটি ছেলেও রয়েছে। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছেলের সঙ্গে একাধিক ছবি শেয়ার করেন তিনি। তার ছেলেও যে এখন থেকেই মায়ের মতো ফ্যাশন সচেতন, তা ছবি দেখলেই বোঝা যায়
সেলিব্রিটি হয়ে ওঠাটা বেশ উপভোগ করছেন যোগেশ্বরী। তবে পোশাক নিয়ে এতটা মাতামাতি ভাল লাগছে না তাঁর। কেন? এ নিয়ে কী বলছেন যোগেশ্বরী?
যোগেশ্বরীর বলেন, ‘রোজ যে রকম পোশাক পরি, তেমনই পরেছিলাম। কোনও ফ্যাশন রোলমডেল নেই। পোশাক দিয়ে কাউকে বিচার করা ঠিক নয়। কাজের দক্ষতা দিয়েই দেখা উচিত।’ সূত্র: আনন্দবাজার