এবার আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের প্রাচীরের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শিশুটি উদ্ধারের সময় অসুস্থ থাকলেও বর্তমানে গাইনি বিভোগে রাখা হয়েছে এবং সুস্থ আছে। তবে শিশুটিকে নিতে ইতোমধ্যে শত শত আগ্রহী মা ফোন দিয়েছে দত্তক নেয়ার জন্য।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নবজাতক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মেডিকেলের পরিচালক মো. আবু তাহের।
তিনি বলেন, গত শনিবার (১১ মে) শিশুটিকে মেডিকেল কলেজের প্রাচীরের বাহিরে থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রেখে যান আসিফ নামের এক ইট-খোয়া ব্যবসায়ী। নবজাতককে প্রথমে শিশু বিভাগে রাখা হয়, পরে তাকে গাইনি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
ডা. আবু তাহের আরও বলেন, মায়ের বুকের দুধ পান করানোর কারণে নবজাতককে গাইনি বিভাগে রাখা হয়েছে। সেখানে অনেক নবজাতকের মা রয়েছেন। তাদের বুকের দুধ পান করালে শিশুটিকে সুস্থ রাখা যাবে।
এদিকে নবজাতক উদ্ধারের ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। থানার ওসি তাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই নবজাতককে নেয়ার জন্য অনেকে অনুরোধ করেছেন।
তবে কী ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুটিকে দিতে চান তা জানতে চাইলে মেডিকেলের পরিচালক বলেন, কাকে পেলে শিশুটি সুখী হবে, কার কাছে বাচ্চাটার ভবিষ্যৎ ভালো হবে, এটি বাছাই করে শিশুটি দেয়া হবে।
নবজাতক উদ্ধারকারী আসিফ হোসেন জানান, গণস্বাস্থ্য এলাকার রাস্তার পাশে ইট-বালু-খোয়ার ব্যবসা করেন তিনি। শনিবার সকালে দোকানে থাকার সময়, হঠাৎ এক পথচারী ওই জায়গায় দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকে দেখে তাকে ডেকে দেখান। পরে তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শিশুটির চিকিৎসক ডা. মো. মাহবুব জোবায়ের বলেন, হাসপাতালে আনার পর শিশুটির অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। এখন সে পুরোপরি সুস্থ।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শিশু হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আজিমপুর ছোটমনি নিবাসের কর্মকর্তাদের কাছে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়। নবজাতকটির নাম রাখা হয়েছে গহিন।