গোলাম রাব্বানী
ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী

‘২৪ বার রক্ত দি‌য়ে‌ছি, মাদকাসক্ত হ‌লে রক্ত দি‌তে পারতাম না’

আমি ২৪ বার রক্ত দি‌য়ে‌ছি। মাদকাসক্ত হ‌লে রক্ত দি‌তে পারতাম না। আমার বিরু‌দ্ধে অপপ্রচার হ‌চ্ছে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এভাবেই খণ্ডালেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

বুধবার (১৬ ‍মে) দিবাগত রাত ১২ টায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে বিবাহিত ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে মাদকসেবী বলেও উল্লেখ করলে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তারা দাবি করেন এসব করে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাব্বানী বলেন, মাদকের এই অভিযোগটা আগেও এসেছিল। আমি যখন বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী ছিলাম, হলের সর্বোচ্চ ব্লাড ডোনার হিসেবে সার্টিফিকেট পেয়েছি। যারা এই ধরনের অভিযোগ করে, আমি আইনের ছাত্র হিসাবে বলছি, যে অভিযোগ তুলবে, সে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করার দায়িত্ব কিন্তু তার উপরেই বর্তায়।

তিনি বলেন, এই ধরনের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির খেলা বিশেষ একটি গোষ্ঠী করছে। এরা বিশেষ কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তাদের সুতো কিন্তু অন্য কোথাও রয়েছে।

রাব্বানী বলেন, আমার বিরুদ্ধে বা আমার সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ— চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম, প্রমাণ করুক, আমরাও অব্যাহতি দেবো। কিন্তু এইভাবে মিথ্যাচার করে যারা সংগঠনের বদনাম করছে, সর্বোচ্চ বডিকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদেরকেই বহিষ্কার করা উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সভাপতি ও সাধাররণ সম্পাদক।

তার আগে ৯টার পর থেকে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে দেখভালে দায়িত্বশীল চার নেতার সাথে দুই ঘন্টাব্যপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন: