সাতক্ষীরার আশাশুনিতে কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে আসমা খাতুন (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। এদিকে কালবৈশাখী'র ভয়াভহ তাণ্ডবে ২০টির বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধায় পরে উপজেলার সদর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বজ্রপাতে নিহত স্কুলছাত্রী আসমা খাতুন উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের মেয়ে ও বুধহাটা এনএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে থেকে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে সাথে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় আসমা খাতুন তার বাড়ির আঙ্গিনায় ছিল। হঠাৎ সেখানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
স্থানীয় একজন ব্যক্তি জানান, হঠাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মুহূর্তেই সব কিছু এলোমেলো করে দেয়। রাস্তার ধার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ২০ টির বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে সড়কের ওপর। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ মাটির তৈরি বাড়ি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রমে রয়েছে।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, কালবৈশাখীর তান্ডবে রাস্তার ধারে ২০ টির বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে রাস্তার ওপরে। আবার কিছু কিছু জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ঘরের উপরে উপড়ে পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীর সাথে পুলিশ ফোর্স দিয়ে রাস্তা যাতায়াত উপযোগী করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, একই সময় বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়ে জানতে পেরেছি।