‘হামলাকারীরা মসজিদ ভাঙচুর করে, পুড়িয়ে দেয় কোরআন শরিফ’

ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ পোস্টের জেরে শ্রীলঙ্কার মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদ ও দোকানপাটের ওপর ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে সেখানকার স্থানীয়রা। স্থানীয়রা সেখানকার মসজিদের দরজা-জানালা ভেঙে দেয়, সেইসঙ্গে পুড়িয়ে দেয় কোরআন শরিফ। শ্রীলংকার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর কিনিয়ামায় আব্রার মসজিদে গত রবিবার তাণ্ডব চালায় আক্রমণকারীরা। সেসময় ওই মসজিদে অবস্থানরত ৩৪ বছর বয়সী এক মুসলমান বলেন, ১৫০-২০০ জন লোক লাঠি, অস্ত্র নিয়ে আসে। কিন্তু পুলিশের বাধায় তারা প্রথমে ফিরে যায়।

কিন্তু এর পর তারা আবার আসে। এসময় তারা প্রায় ১৩০০ জন ছিল। এরপর তারা মসজিদে তাণ্ডব চালায়। তিনি আরো বলেন, তারা মসজিদের সব জানালা, দরজা ভেঙে দেয়, পুড়িয়ে দেয় কোরআন শরিফ। এছাড়া দেশটির উত্তর-পশ্চিমের পুত্তালাম জেলায় এক ব্যবসায়ীর দোকানে ক্রুদ্ধ জনগণ আক্রমণ করার পর ছুরিকাঘাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। হেট্টিপোলা শহরেও তিনটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শ্রীলঙ্কার পুলিশ বিভিন্ন শহরে দাঙ্গাকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহ সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্য ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

গত ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার চার্চে ও অভিজাত হোটেলে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ২৫০ এর বেশি লোক নিহত হয়। আহত হয় পাঁচ শতাধিক। এরপর থেকে দেশটিতে ব্যাপক অভিযান ও ধরপাকড় চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেড়েছে।

তথ্য সূত্র: রয়টার্স, সিবিসি।

শেয়ার করুন: