খুশি ও দুঃখী

সবচেয়ে খুশি ও দুঃখী দেশ

মার্কিন বিশ্লেষণ সংস্থা গ্যালাপ ২০১৮ সাল থেকে একটি জরিপ চালিয়ে আসছিল। যার ফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এ সময়টাতে সংস্থাটি ১৪৩টি দেশের একলাখ ৫১ হাজার লোককে প্রায় একই ধরণের প্রশ্ন করেছিল। সংস্থাটি লোকদের কাছে জানতে চেয়েছিল, তারা কি আগের মতই দিন কাটান নাকি কোন পরিবর্তন এসেছে তাদের জীবনধারায়?

সংস্থাটি আরও জানতে চায় লোকেরা কেন আগের চেয়ে অনেক বেশি রাগী বা দুঃখী হয়েছে? তারা কেন হাসে? তারা কি নতুন কিছু শিখেছে ইত্যাদি। আর বরাবরই প্রশ্নগুলো উত্তর ছিল বেশ চমকপ্রদ। প্রতিবেদন অনুসারে গ্যালাপের পাঁচটি প্রশ্নের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০জনের মধ্যে সাতজনের উত্তর ছিল (৭১%) উপভোগ করেছেন, ভাল-বিশ্রাম বোধ করেন (৭২%), হাসিখুশি বা অনেক হেসেছেন (৭৪%) চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত এবং সম্মানিত মনে করেন (৮৭%)।

প্যারাগুয়ে, আমেরিকান সামান্য দক্ষিণের দেশটি শীতল-আউট খ্যাতির সাথে, ইতিবাচক অভিজ্ঞতার জন্য বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ স্থান পেয়েছে এবং ২০১৫ সাল থেকে এই অবস্থানটি ধরে রেখেছে। গ্যালাপ রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্যারাগুয়ের পর অন্যতম সবচেয়ে ইতিবাচক দেশ পানামা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, এল সালভাদর, ইন্দোনেশিয়া, হন্ডুরাস, ইকুয়েডর, কোস্টারিকা এবং কলম্ববিয়া।

অপরদিকে তালিকার সর্বনিম্ন স্থানে (নেতিবাচক অভিজ্ঞতার শীর্ষে) রয়েছে কেন্দ্রীয় আফ্রিকান দেশ চাঁদ। চাঁদের তিনজনের মধ্যে অন্তত একজন লোক বলেছে তারা অনেক বেশি চিন্তাভাবনা (৩৯%) বা চাপ (৩৫%) এবং শারীরিক ব্যাথা অনুভব (৩১%) করেন। এছাড়া কমপক্ষে পাঁচটি বাজে অভিজ্ঞরা সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে বিষণ্নতা (২৪%) এবং রাগ (২২%)। গ্যালাপ রিপোর্টে বলছে চাঁদের সামগ্রিক চাপের মাত্রা আগের বছরের তুলনায় দুই শতাংশ কমেছে। অপরদিকে চিন্তা, দুঃখ ও চিন্তাধারার পরিমাণ বেড়েছে এক শতাংশ।

শেয়ার করুন: