তারাবিহ পড়ানো নিয়ে মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে জখম

মৌলভীবাজারের বড়লেখার কাঠালতলীর রুকনপুর গ্রামের পাঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম হাফেজ নাজমুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করা হয়েছে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। শনিবার (১১ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে গ্রামের মৃত হাজী জবান আলীর বাড়ির পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, কাঠালতলীর রুকনপুর গ্রামের পশ্চিম রুকনপুর হাজী বাড়ি পাঞ্জেগানা মসজিদ কমিটি রমজান মাসে তারাবিহর নামাজ পড়ানোর জন্য হাফেজ মাওলানা নাজমুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু চতুর্থ তারাবিহর আগে গ্রামের আব্দুল আজিজ, মস্তাকিন আলী, রাশিদ আহমদ, বেলাল আহমদ প্রমূখ তাকে ওই মসজিদে তারাবির নামাজ পড়াতে নিষেধ করেন। নামাজ পড়াতে গেলে নানা ক্ষতি করার হুমকি দিলে পরদিন থেকে তারাবিহর নামাজ পড়ানো বন্ধ করে দেন তিনি।

কিন্তু এর পরেও রাত ১টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলযোগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় গাছ ফেলে ৭-৮ ব্যক্তি তার পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। কাঠালতলী বাজারে হাফেজ মাওলানা নাজমুল ইসলামের বাবার নামে ‘সফিক ক্লথ স্টোর’ নামে একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে।

এ বিষয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ইমাম হাফেজ নাজমুল ইসলাম জানান, তাদের নিষেধে তিনি তারাবিহর নামাজ পড়ানো বন্ধ করে দেন। তারপরও বাধা নিষেধকারী ৭-৮ ব্যক্তি তার প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।

ঘটনাটির বিষয়ে থানার এসআই শরীফ উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার শিকার হাফেজ মাওলানা নাজমুল ইসলামের পক্ষ থেকে তার স্বজনরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শেয়ার করুন: