‘তারা আমাকে বিছানায় পাঠিয়ে দিচ্ছে এরশাদের সাথে’

অসুস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে পুরোনো প্রেমের কথা ভুলতে পারছেন না তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।নিজের ফেসবুকে কিছু পুরোনো ঘটনা উল্লেখের পাশাপাশি কেন তিনি ফেসবুকে বিদিশা এরশাদ নামে পেজ খুলেছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।জানিয়েছেন এরশাদ এখনও কতভাবে তার জীবনে প্রাসঙ্গিক। বিদিশা এরশাদের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আজকাল অনেক নিউজ হচ্ছে আমাকে নিয়ে মিডিয়া, অনলাইনে।

প্রথমে মনে হতো আমাকে নিয়ে আবার কেনো, যথেষ্ট কি হয়নি?

এই বlর ক্ষান্ত দিন মিডিয়া । কিন্তু আমি চাইলে ও কি তা সম্ভব? সেটি ও বুঝি আমি।

আমি এরিক, এরশাদ, জাতীয় পার্টি আমরা সবাই একে অপরের সাথে জড়িত।

একদিন আমার ছোট্ট বেলা বান্ধবী তো বলেই ফেলল তুই চাইলে ও ঘর, সংসার করতে পারবি না আর এই জীবনে। তোর জীবন টাতো হলো sacrifice করার জন্য।
সারাজীবন তো এটাই করলি, জীবনের বাকি সময়ে তাই না হয় কর, তোর এরিক এর জন্য।

আমার বান্ধবী আরো এড করলো এরিক কে বাকি জীবন ও তোকেই প্রোটেক্ট করতে হবে। এতদিন এরশাদ ছিল ওর বাবা মা। সামনের দিনগুলোতে তুই হবি মা ও বাবা। আমি জিজ্ঞেস করলাম মানে কি আমি কি সব সময়ে মানুষের আলোচনা খোরাক হবো? , নিউজ হবো শুধু তাহলে? আবার আলোচনা জন্য গালি ও খাবো পাবলিক এর?

আশ্চর্য বিষয় হলো আজকাল অনেকের অনেক জ্বালা আমার Bidisha Ershad নাম ID বা পেইজ জন্য । Why I still use Ershad name?

যারা আমাকে অপছন্দ করে তারা তো একেবারে আমাকে Bed এ পাঠিয়ে দিচ্ছে Ershad সাথে।

আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই প্লিজ ওয়েট and see। ধৈর্য। আমি সবার থেকে বেশি ধৈর্য্য ধরেছি। 14 YEARS NOT MATTER OF JOKE.

Ershad নাম চাইলে ও আমি মুছতে পারবো না কারণ এই নাম টি আমাদের সন্তান এরিক এর সাথে ও জড়িয়ে আছে। তার থেকে বড় কথা এরশাদ জড়িয়ে আছে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।

আমি আমার পাসপোর্ট Bidisha Siddique আমার বাবা নাম ব্যবহার করি।

সমস্ত legal documents, ভোটার আইডি কার্ড, মেডিক্যাল, ব্যাংক, বাড়ি, জমি সব জায়গায় বাবার নাম ইউজ করি।

দুই টি নামে কারণে আমি পরিচিত দেশ বিদেশে।

কাগজ পত্রে বাবার নাম দেয়া কিন্তু মানুষের হৃদয়ে তো Ershad নাম তাই সবাই আমাকেও আজ ও ডাকে ওই নামে।

কখনো কখনো আমি সুযোগ পেলে খুব বিরক্ত হয়ে পাবলিক কে বলেও ফেলি আমার নিজের ও তো নাম আছে। পাবলিক বলে ম্যাডাম সব ঠিক করে ফেলেন না কেন আপনারা? তারা ধরেই নিয়েছে সব ঠিক হয়ে যাবে সেই আগের মত।

স্যারের কোনও দোষ ছিল না সব দোষ বি এন পি। আসলে সাধারণ মানুষ আজও এরশাদ সাহেব কে ভালো বাসে।

আগে আমি অনেক সময় রাগ করতাম মানুষের এই এরশাদের প্রেম দেখে। আজ উনার এই পরিনত বেলায় যখন গুলশান বাজারের দোকানদার আমাকে বলে ম্যাডাম স্যার রে পারলে একটু ভালো মন্দ খাওয়ায়েন। স্যারে রে আজ উইল চেয়ার বসে থাকতে দেখলাম টিভি চ্যানেলে। এই মানুষ টা এই দেশ টারে অনেক দিয়েছেন।

আগের মতন আমার আজ আর রাগ হয় না বরং নিজের চোখ নিজেই মুছতে থাকি ওরনা দিয়ে। মনে করতে থাকি এক সময় আমরা লন্ডনে থাকতে উনি না আমার হাতের রান্না খাওয়ার জন্য শুধু ২০ মাইলস দুর থেকে দেশী মাছ কিনে আনতেন। আবার কাচচি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য বাপ বেটা মাঝ রাতে আমাকে কাঁচা ঘুমের থেকে উঠিয়ে রান্না ঘরে পাঠিয়ে নিজেরাই ঘুমিয়ে পড়তো।

লিগালী সব কিছু করা সম্ভব না। লিগালী ডিভোর্স, নাম বদল হয়, হয় না বন্ধন ছিন্ন।

আমি সেই 2005 সালে আমার পাসপোর্ট নাম পরিবর্তন করে আগের নামে ফেরত যাই কিন্তু আজ ও পারিনি বদল করতে সাধারণ মানুষের Bidisha Ershad বলে সম্বোধন টি।

এখন প্রশ্ন হলো আমি নিজে কেনো এই নামে পেইজ করলাম? তার স্পষ্ট বাকখ্যা হলো 2005 আমি জেল থেকে বের হয়ে fb একাউন্ট খোলার সময়ে দেখি আমার শত্রু পক্ষের লোকেরা আমার নামে fake id খুলে বসে আছে বিদেশী কিছু পর্ন ছবি দিয়ে। আমি fb কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করি তারপর তারাই suggest করে এই নামে fb account যদি নাও করি তাহলে at least যেনো akta পেইজ খুলি অত্যন্ত যাতে তারা Bidisha Ershad নামে ভুয়ো I'd করলে এ বন্ধ করতে পারে।

আমি চেষ্টা করি সবসময় সত্য কথা বলার জন্য। দু'টো নাম রাখা টা গর্ব করার কিছু না।এতে বিড়ম্বনা আমার ই। আমি তো দুটো মোবাইল ই রাখতে পারিনা।

আমি পরিস্থিতি শিকার।

শেয়ার করুন: