মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। আর এই রমজানক কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে ফলসহ নিত্যপণ্যের বাজার। এগুলোর মধ্যে ফল এখন বিলাসী খাদ্যদ্রব্য।
তাই পুষ্টিবিদরা ইফতারে যতই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিক না কেন, দামের কারণে তা খাওয়ার উপায় নেই সাধারণ মানুষের। এদিকে, দাম বেড়ে যাওয়ায় দোকানিদের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবে অনেকের অভিযোগ, ‘বিদেশে রমজান আইলে দাম কমে আর বাংলাদেশে বাড়ে’।
রমজানে সবার নজর গরুর মাংস আর নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিসপত্রের দামের দিকে। কিন্তু ফলের বাজার যে লাগামছাড়া সেদিকে কারোরই নজর নেই। খুচরা বাজারে আমদানি করা সব ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হবে বলেও দাবি তাদের।
আপেলের দাম প্রকারভেদে বেড়েছে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। মালটা ৪০ থেকে ৬০ টাকা। আঙুর ৮০ থেকে ১২০ টাকা। নাশপাতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
রাজধানীর বাদামতলী ফলের পাইকারি বাজারেও সত্যতা মিললো খুচরা বিক্রেতাদের কথার। সব ফলেই কার্টনপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
আমদানীকারকদের দাবি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে দাম বেড়েছে তা কমে আসবে খুব শিগগিরই। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘুর্ণিঝড় ফণীর কারণে তিন দিন পোর্ট বন্ধ ছিলো, ফলে অনেক ফল এখনো বাজারে আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাজার সহনশীল হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
এতো গেল বিদেশী ফলের কথা। ১০ টাকার কমে একটি কলাও পাওয়া যায়না বাজারে। আর তরমুজের দাম তো আকাশছোঁয়া। পাইকারী বাজারে যে আনারস রমজানের আগে ছিল ১০ টাকা পিস, সেটিই এখন ২০ টাকা। তবে আম, লিচুসহ দেশী ফল বাজারে আসলে, ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।