দুধ

ভয়ংকর তথ্য : দুধ-দইয়ে ক্ষতিকর সিসা, জড়িতদের ধরতে কমিটি গঠন

দুধ, দই ও পশুখাদ্যে ভেজাল মেশানোর পেছনে কারা জড়িত তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব খাদ্যে ক্ষতিকর কীটনাশক ও সিসার বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালতকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাদ্যে ভেজাল মেশানোর পেছনে কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে দুধ-দইয়ে অ্যান্টিবায়োটিক অনুজীব, কীটনাশক, সিসা, গরুর দুধেও বিষের ভয়, শিরোনামে রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে তিন মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয়া হয়।

হাইকোর্টের ওই নির্দেশের পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. মাহবুব কবিরকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় জানিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটির কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয় আদালতে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে। কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-

১. কাঁচা তরল ও পাস্তুরিত দুধের নমুনা সংগ্রহ, গবেষণাগারে পরীক্ষা ও কমিটি কর্তৃক ফলাফল পর্যালোচনা;

২. পশুখাদ্যের নমুনা সংগ্রহ এবং গবেষণাগারে পরীক্ষা ও কমিটি কর্তৃক ফলাফল পর্যালোচনা এবং

৩. প্রাথমিক উৎপাদন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ, ফলাফলসমূহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ এবং কমিটি কর্তৃক যথাযথ সুপারিশ প্রণয়ন।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের (এনএফএসএল) এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর দেখে গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ দুধ-দই ও গোখাদ্য পরীক্ষার আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার (৮ মে) নির্ধারিত একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে নেয়া উদ্যোগগুলো সম্পর্কে হাইকোর্টে অবহিত করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে দুধ-দইয়ে অ্যান্টবায়োটিক অনুজীব, কীটনাশক, সিসা, গরুর দুধেও বিষের ভয়- শিরোনামে রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে তিন মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয়া হয়। আজ কোর্টে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে জানানো হয় যে, তারা ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করেছেন। কারা এর সঙ্গে জড়িত- তাদের চিহ্নিত করে কোর্ট রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে এবং ১৫ মে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এক সপ্তাহের সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, দইয়ে ক্ষতিকর সিসা ও গোখাদ্যেও মাত্রারিক্ত কীটনাশকসহ নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে। এ বিষয়গুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর প্রভাবে কিডনি, যকৃতসহ নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

প্রসঙ্গত, সরকারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরদিন জনস্বার্থে প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন একজন আইনজীবী। ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে কী পরিমাণ ভেজাল (ব্যাকটেরিয়া, কীটনাশক ও সিসা) মেশানো হয়েছে তা পরীক্ষা করে জরিপ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই সময় আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, খাদ্যে ভেজাল মেশানোর কারণে মানুষের কিডনি ও লিভার নষ্ট এবং ক্যানসার হচ্ছে। খাদ্যে ভেজাল মেশানো ‘বড় ধরনের দুর্নীতি’। একই সঙ্গে, দুধের সঙ্গে সিসা মিশ্রণকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পাশাপাশি দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে ভেজাল মেশানোর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, কৃষি সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিএসটিআই চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

মানহীন দই বিক্রির অপরাধ প্রসঙ্গে বিএসটিআই জানায়, লাইসেন্স ছাড়া ফার্মান্টেড মিল্ক বা দই বিক্রি করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এসব দই মানহীন। অভিযানে সংস্থার লাইসেন্স ছাড়া নিম্নমানের দই বিক্রির অপরাধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকান-মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং যেসব ফলে ফরমালিন পাওয়া যায় সেগুলো ধ্বংস করা হয়।

বিএসটিআইর পরিচালক (সিএম) এস এম ইসহাক আলী বলেন, বিএসটিআই খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। রমজানেও দুগ্ধজাত পণ্যের ভেজাল তদারকি হচ্ছে। এ অভিযানে নিয়মিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে জরিমানা, শাস্তি ও মামলা হচ্ছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহায়তায় গোখাদ্য, দুধ, দই ও বাজারে থাকা প্যাকেটের পাস্তুরিত দুধ নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগার (এনএফএসএল) জরিপ চালায়।

এনএফএসএল জরিপের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাভির দুধের ৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করে। ঢাকাসহ তিন জেলার ছয়টি উপজেলাসহ ১৮টি স্থান থেকে দুধের পাশাপাশি অন্যান্য নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। গাভির দুধ ও গোখাদ্য সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান ও আশপাশের উপজেলার দোকান থেকে দই সংগ্রহ করে এনএফএসএল। বিভিন্ন সুপার শপ থেকে প্রায় সব ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত তরল দুধ এবং আমদানি করা প্যাকেট দুধ সংগ্রহও করা হয়।

গোখাদ্যের ৩০টি নমুনা পরীক্ষা করে কীটনাশক (২টি নমুনায়), ক্রোমিয়াম (১৬টি নমুনায়), টেট্রাসাইক্লিন (২২টি নমুনায়), এনরোফ্লোক্সাসিন (২৬টি নমুনায়), সিপ্রোসিন (৩০টি নমুনায়) ও আফলাটক্সিন (৪টি নমুনায়) গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রা পাওয়ার কথা জানায় এনএফএসএল।

গাভির দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক, ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সীসা পাওয়া যায়। ৯৬ শতাংশ দুধে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়।

প্যাকেট দুধের ৩১টি নমুনায় ৩০ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি হারে টেট্রাসাইক্লিন পাওয়ার কথাও জানায় এনএফএসএল। একটি নমুনায় সীসা মেলে। একই সঙ্গে ৬৬-৮০ শতাংশ দুধের নমুনায় ব্যাকটেরিয়া পাওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি।

দইয়ের ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি সীসা পাওয়ার কথা জানায় এনএফএসএল। ৫১ শতাংশ নমুনায় মেলে ব্যাকটেরিয়া।

২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের পাঁচ উপজেলা এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ মোট ১৮ স্থান থেকে ১৯০টি নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়।

৯৬টি কাঁচা তরল দুধের নমুনা : অণুজৈবিক বিশ্লেষণ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯৩টি নমুনাতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার টোটাল প্লেট কাউন্ট (টিপিসি) ও কলিফর্ম কাউন্ট ক্ষতিকর মাত্রায় বিদ্যমান আছে। একটি নমুনায় সালমোনেলা পাওয়া গেছে। রাসায়নিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পাঁচটি নমুনাতে সিসা, তিনটিতে আফলাটক্সিন, ১০টিতে টেট্রাসাইক্লিন, একটিতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং নয়টিতে পেস্টিসাইট (অ্যান্ডোসালফান) ক্ষতিকর মাত্রায় পাওয়া যায়।

প্যাকেটজাত তরল দুধের ৩১টি নমুনা : দেশি ২১টি এবং আমদানি করা ১০টি নমুনার মধ্যে ১৭টি দেশি দুধের নমুনাতে টিপিসি ও কলিফরম কাউন্ট, ১৪টিতে মোল্ডস এবং আমদানি করা তরল দুধের একটির নমুনাতে কলিফর্ম কাউন্ট ক্ষতিকর মাত্রায় রয়েছে। রাসায়নিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশি দুধের একটি নমুনাতে আফলাটক্সিন, ছয়টিতে টেট্রাসাইক্লিন এবং আমদানি দুধের তিনটিতে টেট্রাসাইক্লিন ক্ষতিকর মাত্রায় রয়েছে।

দইয়ের ৩৩টি নমুনা : বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা দইয়ের ৩৩টি নমুনার মধ্যে ১৭টিতে টিপিসি, ছয়টিতে কলিফর্ম কাউন্ট, ১৭টিতে ইস্ট মোল্ড এবং একটিতে সিসা ক্ষতিকর মাত্রায় পাওয়া গেছে।

পশুখাদ্যের ৩০টি নমুনা : ১৬টিতে ক্রোমিয়াম, চারটিতে আফলাটক্সিন, ২২টিতে টেট্রাসাইক্লিন, ২৬টিতে এনরোফ্লক্সাসিন, ৩০টিতে সিফরোফ্লক্সাসিন এবং দুটিতে পেস্টিসাইট (অ্যান্ডোসালফান) ক্ষতিকর মাত্রায় পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ীয় নমুনা উৎসমূল অনুসন্ধান, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া এবং উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট সুপারিশ করবে গঠিত কমিটি। কমিটি এ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় নিয়ে কাজ করতে তিনটি ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে।

এগুলো হলো- কাঁচা তরল ও পাস্তুরিত দুধের নমুনা সংগ্রহ, গবেষণাগারে পরীক্ষা ও ফলাফল পর্যালোচনা করা, পশুখাদ্যের নমুনা সংগ্রহ এবং গবেষণাগারে পরীক্ষা ও ফলাফল পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল। এছাড়া প্রাথমিক উৎপাদন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ, ফলাফলের তুলনামূলক বিশ্নেষণ এবং যথাযথ সুপারিশ প্রণয়ন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২৩ মে থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে দেয়া হবে। কমিটির আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও কমিটির আহ্বায়ক মো. মাহবুব কবীর এ প্রসঙ্গে বলেন, আদালতের নির্দেশনার কপি হাতে পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সংস্থার পরিচালক ড. সাহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, বাজারে প্রচলিত বিএসটিআই অনুমোদিত পাস্তুরিত দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাস্তুরিত দুধের মোড়কে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

একই সঙ্গে, পাস্তুরিত দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কবাণী সংযোজনকে বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলো এ সতর্কতা অনুসরণ শুরু করেছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্য বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে ভেজাল ও নিম্নমানের বিষয়ে উচ্চ আদালত ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখন সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তৎপর হয়। এর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সচেতন হলে সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল, সিসা, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব উপাদান ক্ষতিকারক। এই ক্ষতিকারক পদার্থ যেন কোনো পণ্যে না মেশানো হয়। আমরা এসব সমস্যার সমাধান চাই। দুগ্ধজাত পণ্য আমদানিকারক ও উৎপাদককে আরও সচেতন হতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কঠোর হলে ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য বিক্রির প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন: