কয়েকদিন আগেই নিজেদের টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে ‘শীঘ্রই আসছি’ বলে বাংলায় একটি পোস্টার পোস্ট করেছিল আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। তাহলে কী শ্রীলঙ্কার পর এবার পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশে হামলার ছক রয়েছে আইএসের। এমনই জল্পনা দেখা দিয়েছিল।
এদিকে আসছে বৌদ্ধ পূর্ণিমায় বাংলাদেশ কিংবা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মন্দিরে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। ইসলামিক স্টেট কিংবা জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমপি) এ হামলা চালাতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি) এ ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। শুক্রবারই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সেখানে বলা হয়েছে, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন পশ্চিমবঙ্গে হামলা চালাতে পারে আইএস জঙ্গিরা। শ্রীলঙ্কার মতো মূলত আত্মঘাতী জঙ্গি হামলাই হতে পারে। বাংলাদেশের জামাত–উল–মুজাহিদিন কিংবা আইএস জঙ্গিরা বুদ্ধপূর্ণিমার দিন পশ্চিমবঙ্গের বৌদ্ধ এবং হিন্দু মন্দিরগুলিতে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে। একই কায়দায় আইএসের মহিলা জঙ্গিরা রমজান মাসে এ রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে ফিদায়েঁ কায়দায় হামলা চালাতে পারে বলে খবর গোয়েন্দাসূত্রে খবর।
শ্রীলঙ্কায় সম্প্রতি ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন দু’শোরও বেশি মানুষ। হামলার দায় নেয় আইএস। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অথবা পশ্চিমবঙ্গে মহিলা জঙ্গিদের সামনে রেখে নাশকতার ছককে বাস্তবায়িত করা হতে পারে।
নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, বুদ্ধপূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ মন্দিরে অথবা রমজানে মাসে অন্য কোনও মন্দিরে ভক্ত সেজে ঢুকে হামলা চালানো হতে পারে। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়াতে গর্ভবতী মহিলা সেজে পেটের মধ্যে বিস্ফোরক লুকিয়ে মন্দিরে ঢোকার মতো নতুন কৌশল জঙ্গিরা নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবে ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কলকাতা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন বৌদ্ধ এবং হিন্দু মন্দিরে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। সুরক্ষা বাড়ানো হচ্ছে অন্যান্য জায়গারও। এর পাশাপাশি বাংলাদেশেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশ যেকোনও জায়গায় এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।