গুড়

রঙ ও চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাজারে পাওয়া খেজুরের গুড়

খেজুরের গুড়ের সঙ্গে চিনি, কাপড়ের রঙ ও অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে এক ধরনের গুড় তৈরি করা হয়। জেনে শুনে ব্যবসায়ীরা এ গুড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আসল খেজুরের গুড়ের দামে কেনাবেচা হচ্ছে এসব গুড়। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বৃহস্পতিবার ভেজাল গুড় তৈরির এমন একটি কারখানায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় ২৫০ মণ ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানার মালিক তাপস পালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জানা যায়, পাংশা আজিজ সরদার বাসস্ট্যান্ড এলাকার তাপস কুমার পালের গুড় কারখানায় ভেজাল গুড় তৈরির অভিযোগে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন রাজবাড়ী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাজবাড়ী জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সূর্য কুমার প্রামাণিক, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. তৈয়বুর রহমান ও পাংশা থানা পুলিশের ওসি মো. আহসান উল্লাহ।

এ সময় কারখানায় থাকা ২৫০ মণ গুড়, গুড়ে ব্যবহার করা বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত গুড়গুলো ধ্বংস করে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযানের সময় গুড় তৈরির চক পাউডার, ফিটকিরি, চিনি, বার্নিশ কালার, ময়দা, গুলানো রঙ জব্দ করা হয়। কারখানা থেকে জব্দকৃত পাঁচ বস্তা চিনি ও চার কুলা গুড় স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত ভেজাল গুড় ও গুড় তৈরির মালামাল সাধারণ মানুষের সামনে ধ্বংস এবং গুড় ব্যবসায়ী তাপস পালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, তাপস পালের কারখানার সব গুড়েই ভেজাল। তার কারখানা থেকে ২৫০ মণ ভেজাল গুড় উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন: