৩১টি মসজিদ ও দুটি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করেছে চীন

উইঘুর মুসলমানদের স্বপ্ন জিনজিয়াং প্রদেশে তারা এক স্বাধীন ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠা করবে যেখানে তারা ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে, কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। চীনের সমাজন্ত্রিক সরকারের হত্যা ও নির্যাতনের শিকার তারা। সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে যে জিনজিয়াং প্রদেশে কয়েক লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে দেশটি।

এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলছে কঠোর সমালোচনা। এবার খবর প্রকাশিত হলো- ৩১টি মসজিদ ও দুটি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।

জিনজিয়াং প্রদেশে গত তিন বছরে এসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান এবং ওপেন সোর্স সাংবাদিকতার ওয়েবসাইট বেলিংক্যাটের এক তদন্তে এমন তথ্যই ওঠে এসেছে।

তদন্তের প্রতিবেদন তুলে ধরে টাইম ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইসলামি ধর্মীয় স্থাপনাকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে স্বায়ত্তশাসিত ওই অঞ্চলের ৯১টি ধর্মীয় স্থান পরীক্ষা করে দেখা যায়, গত তিন বছরে ৩১টি মসজিদ ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাজারের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

ওই ৯১টি স্থাপনার মধ্যে ৩৩টি ‘প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস’ করা হয়েছে, আর অন্যগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-গেটহাউজ, গম্বুজ ও মিনার।

তদন্তে আরও দেখা গেছে, ধর্মীয় স্থাপনার স্বাভাবিক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট না থাকলেও মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ৯টি ভবনও ধ্বংস করা হয়েছে।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে তুর্কি উইগুরসহ অনেক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বসবাস করে। উইগুরদের সাথে অন্যান্য তুর্কী মুসলিম গোষ্ঠীগুলো অত্যাচারের শিকার হচ্ছে বলেও এই তদন্তে ওঠে আসে।

শেয়ার করুন: