সোমবার থেকে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে রোজা পালন শুরু

আগামীকাল সোমবার (০৬ মে) থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হচ্ছে। জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা এভাবে আগাম রোজা এবং দুটি ঈদ উদযাপন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে এই দরবার শরীফের প্রথম পীর মাওলানা ইসহাক (রা.) এই দেশে চন্দ্রমাস হিসেব করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন এবং সেই হিসেবে দুটি ঈদ উদযাপন শুরু করেন। এরপর তার অনুসারীরা এই ধারাবাহিকতা মেনে চলেছেন।

জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিহাটের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হাবিবুর রহমানের ছেলে, রাজনীতিক ও সমাজসেবক মামুন মুন্সি জানান, সোমবার থেকে তারা পবিত্র রোজা পালন শুরু করবেন। সেই জন্য আজ রাতে এশার নামাজের পর তারাবিহ এবং ভোর রাতে সেহরি খাবেন।

তবে এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন সাদ্রা পীর মরহুম মাওলানা ইসহাক খানের ছেলে মাওলানা আবু বক্কর। তিনি বলেন, সারাদেশে বর্তমানে প্রায় এক কোটি মুসলমান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখছেন। শুধু সাদ্রা পরী অনুসারী নয়, দেশে এখন বিভিন্ন হুজুরের অনুসারীরাও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, গত দুইদিন ধরে আমরা নফল রোজা রেখে আসছি। রোজা থেকে রমজানের চাঁদ দেখার কথা কিতাবে আছে। তাই আমরা নফল রোজা রেখেছি। আজ তারাবির নামায পড়বো। ভোর রাতে সেহরি খাবো। আমরা সোমবার থেকে রোজা থাকা শুরু করবো। চাঁদপুরের চার উপজেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ সোমাবর থেকে রোজা শুরু করবেন। গ্রামগুলোর অধিকাংশ মুসল্লি রোববার দিবাগত রাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করবেন।

উল্লেখযোগ্য গ্রামগুলো হলো সাদ্রা, বলাখাল, মনিহার, অলিপুর, বড়কুল, শমেশপুর, ঝাঁকনি, রামচন্দ্রপুর, প্রতাপুর, বেলচোঁ, উভারামপুর, সুরঙ্গচাল ও গোবিন্দপুর। ফরিদগঞ্জের গ্রামগুলো হলো শাচনমেঘ, বিঘা, বাছপাড়া, খিলা, ওড়তলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নোয়ারহাট, বাশারা, পনিসাইর, কামতা, পাইকপাড়া, কাইতারা, টোরামুন্সীরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, তেলিসাইর। মতলবের গ্রামগুলো হলো আশ্বিনপুর, নায়েরগাঁও, পাঁচানী, দশানী, মোহনপুর, এখলাসপুর ও বেলতলী এবং কচুয়ার কয়েকটি গ্রাম।

শেয়ার করুন: