রাজনীতি বিশ্লেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রীয়াজ দাবি করে বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরও শপথ না নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এমনটা জানান তিনি। আলী রীয়াজ তার ফেসবুকে লেখেন, ‘বাংলাদেশে যে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে তাতে এই প্রথম একজন প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পরে সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন না।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংসদের যে কোনো ইতিহাস লেখা হলে এই বিষয় উল্লেখিত হবে বলেই আমার বিশ্বাস’। ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কারণেই বাংলাদেশের ইতিহাসে আলোচিত হবেন। এই সিদ্ধান্তের কারণ এবং সঠিকতা নিয়ে মতভিন্নতা থাকবে,
এর ফল নিয়ে অনেক কথা এখনো বাকি রয়ে গেছে। কিন্তু নৈর্ব্যক্তিকভাবে বিবেচনা করলে এই বিষয়টি মোটেই এড়ানো যাবে না।’ একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ছয় প্রার্থী নির্বাচিত হন। কিন্তু দলীয় ভাবে তারা সিদ্ধান্ত নেন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিবেন না। তবে অনেক নাটকীয়তার পর এদের পাঁচজনই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
সংবিধানের ৬৭ (১) এর ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে ওই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে।
এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন। কিন্তু শেষ দিনেও শপথ নেননি মির্জা ফখরুল। পরে মঙ্গলবার রাতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মির্জা ফখরুলের আসন শূন্য ঘোষণা করেন।