ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে শক্তিক্ষয় হয়ে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও পাবনা জেলায় অবস্থান করছে। এছাড়া ফণীর দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণী ক্রমাগত তার শক্তি হারাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার (৪ মে) রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ হয়ে ভারতের আসামের দিকে চলে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
অধিদফতর বলছে, দক্ষিণাঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে রোববারও বৃষ্টিপাত হবে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৪ জন নিহত হয়েছে। দুইজন হলো ঘর ধসে পড়ে আর দুইজন হলো গাছ চাপা পড়ে।
এছাড়াও ফণীর প্রভাবে ইতোমধ্যে বাঁধ ভেঙে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ও কাঁচা-পাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর শঙ্কা আপাতত আর নেই, রবিবার (৫ মে) থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।
তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যে বিপদের আশঙ্কা ছিল তা কেটে গেলেও জলোচ্ছ্বাস বা ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এমন প্রাকৃতিক দুযোর্গের আগে ও পরে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক- ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পরে কী কী করবেন?
১. সরকারি বা বিভিন্ন এনজিওগুলোর অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাই কাজ শুরু করতে হবে।
২. ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে তরুণ-যুবকরা মিলে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে পুরো এলাকায় কাজ করতে হবে।
৩. ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের পর রাস্তা-ঘাটে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকতে পারে। এ কারণে হাঁটা চলার সময় সর্তকতা অবলম্বণ করতে হবে।
৪. ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়লে সেগুলো সরিয়ে রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা করা।
৫. আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে সাহায্য করা।
৬. ঘূর্ণিঝড়ের হানায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীদের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত।
৭. গবাদি-পশু, পাখি থাকলে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে আসা।
৮. ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা।
৯. ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
১০. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তবে প্রতি বাড়িতে পর্যাপ্ত মোমবাতি সরবরাহের ব্যবস্থা করা।