বৃষ্টি হবে আরও ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সারাদেশে আগামী ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হতে পারে। আজ শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সর্বশেষ সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অবশ্য আজ শনিবার সকাল ৬ টার দিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অতিক্রম করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর ২১ ঘণ্টা আগে ভারতের ওডিশায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফণী। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সকালে আঘাত হানার পর উত্তর দিকে চলে যায় ফণী।

সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর ও আশপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী। পরে এটি ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও পাবনার দিকে চলে যায়। এটি পরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সারাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ সারাদেশে চলছে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ মো: আবদুল মান্নান ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ অবস্থা তুলে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর শক্তিক্ষয় হতে শুরু করেছে। এর ফলে এখন মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা এই বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে আসায় দেশের উপকূলীয় এলাকার অনেক আশ্রয় শিবির থেকে আজ আশ্রয় নেওয়া লোকজন ঘরে ফিরে গেছেন।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দীন আহমেদ আজ দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশ এখন অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে এর বদলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন: