রাজধানীতে চলন্ত বাসে তরুণীকে আপত্তিকর স্পর্শ!

রাজধানীতে চলন্ত বাসে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী চড়-থাপ্পড় দিয়ে লোকটিকে বাস থেকে নেমে যেতে বাধ্য করেন। শুধু তাই নয় তিনি ওই যৌন হয়রানির একটি ভিডিও করেছেন।

পরে তরুণী ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন। ক্যাপশনে জুড়ে দেন ঘটনার বর্ণনা। ভিডিওতে দেখা যায় যৌন হেনস্থাকারী ব্যক্তি তার একটি হাত তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে লাগাচ্ছেন, সঙ্গে তরুণীর করা প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছেন সাবলীলভাবে। বুদ্ধিমান তরুণী কথার ফাঁকে ফাঁকে লোকটির নাম-পরিচয় বের করছেন।

লোকটির নাম আহমেদ জামাল। অফিস উত্তরায়। এই তরুণীকে আহমেদ জামাল নামে লোকটি নিজের ভিজিটিং কার্ডও দিয়েছিলেন। কার্ডে তার পরিচয়ে দেখা যায় পুষ্টি এবং সৌন্দর্য্য নামক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার তিনি। কিন্তু কার্ডে থাকা মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ ছিল।

জানা গেছে ওই ছাত্রী একটি বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে একটি স্কুল এন্ড কলেজে নাচের শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) পড়াশোনা করেছেন।

ওই ছাত্রী ফেসবুকে লিখেন: কি বলে শুরু করবো বুঝতে পাড়ছি না। লোকটা গাবতলী পাড় হয়ে মিরপুরের কাছাকাছি থেকে উঠেছে, উত্তরার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। পেছনে সিট খালি থাকা পরও তিনি পাশে বসেন। যদিও বিষয়টা পরে বুঝতে পারি ভিডিও দেখে।

উনি বেশ কিছু সময় পর কুনুই আমার বুক বরাবর দিচ্ছেন, আমি বিষয়টা সহজ ভাবে নিতে চেয়েও পারিনি, আমিও কুনুই দিয়ে বসলাম যাতে কিনা লোকটা কুনুই না আগাতে পারে। ভেবেছি লোকটা সতর্ক হবেন কিন্তু না তাতে তিনি ক্ষান্ত নন।

সাহস দেখলাম লোকটার আমার জামার কাপড় সরিয়ে নিয়ে গেছেন, এমনকি হাত না সরিয়ে আমার কথার জবাব দিয়ে যাচ্ছেন। সারাটা রাস্তায় তিনি কুনুইয়ের ব্যবহার দেখিয়েছেন, এটা মজা করেই বললাম কারণ এসব এখন মজা ছাড়া কিছু না, যারা দেখবেন ভিডিওটা বলবেন কেনো তাকে ছেড়ে দিলাম বা আরো ব্লা ব্লা...

আমার অসুস্থ এটা হয়তো সকলেই জানেন, আবার অনেকেই জানেন না, শব্দ, জোরে কথা বলা, এমনকি হৃদয় বিদারক কিছুই এখন সইতে পারি না, (হৃদ) সমস্যা ধরা পরার পর আমি শুধু সেকেন্ডের কাটার সাথে হার্ট বিট গুনতে পারি এতোটা সমস্যা।

ফরিদপুর থেকে ঢাকা, এমন বহু বার যাতায়ত করা হয় আমার/হবে। এর আগেও এমন একটা ঘটনা ভিডিও করতে পেরেছিলাম, অনেক সময় অনেক পরিস্থিতিতে ভিডিও করার মতো বা প্রমাণ রাখার মতো অবস্থা থাকে না। তখন মাথা খারাপ হয়ে যায়, কি রেখে কি করবো, আর বিশেষ করে খুব রাগ থাকায় নিজেকে কন্ট্রোল করা দুষ্কর হয়, এর পর একা।

লোকটি গল্পে গল্পে তার অফিসের কার্ড আমায় দেয়, আমি নিয়ে নেই কারণ এটাতে তার পরিচয় পেতে কাজে লাগবে, তখন আমি ভিডিও করি আর কার্ডটি ব্যাগে রাখি।

আমাকে অফার করেন সৌন্দর্য চর্চা করার জন্য তিনি বুঝে উঠতে পারেন নাই আমি মোটেও চর্চা বিষয়ে আগ্রহ দেখাই না, লোকটির বয়সতো ৫০ এর গোড়ায়, তবুও ছুকছুকানি যায়নি, আমিও উত্তরা থাকি তাকে পেতে আমার সময় লাগবে না। পরিচয় ও আছে তার নিচে (ছবি সহ)

নাম #আজম জামাল
ফোন #০১৯৭২৯৮৯৮৮০
89 syed Grand center
Sector -7, uttara.

এবার আসি কথায়, বাসে ট্রামে যখন কনুই ওয়ালা কাকু পাবো তখন আমাদের করণীয় যা তা হয়তো করতে পারি না বলেই এসব হয়েই যাচ্ছে। অসুস্থতা নিয়ে এমন পরিস্থিতিতে পড়বো ভাবিনি, তবে আমি হয়তো ভুলে গিয়েছিলাম এটা বাংলাদেশ, এখানে আমাকে যে কোন সময় খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।

রীতিমতো আমার শরীর কাঁপছিলো, শরীর খারাপ করছিলো জানি না কি করে উত্তরা পৌঁছালাম, বাসায় এলাম। এতোটা মনোবল না থাকলে হয়তো কিছুই করতে পারতাম না। শরীর খারাপ হয়ে রাস্তায় পড়ে যেতে হতো।

তবে একটা ইচ্ছে পূরণ হলো তা হলো মন মতো চর কষাইতে পারছি, সুস্থ থাকলে আরো মন মতো দিতাম এতে ভুল হতো না। বিঃদ্র( আমাকে কেউ উপদেশ দিয়েন না দয়া করে, পরিস্থিটা আমি পাড় করেছি, অসুস্থ শরীরে)

শেয়ার করুন: