ফখরুলের শূন্য আসনে ভোট ১৮ জুন!

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বগুড়া-৬ শূন্য আসনে ভোট জুনের মাঝামাঝি করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেক্ষেত্রে ১৮ জুন ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানায়, বগুড়া-৬ আসন শূন্য ঘোষণার পর এ আসনে ভোট করার নিয়েছে ইসি। চলতি মাসে তফসিল দিয়ে জুনের মাঝামাঝি ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার তালিকাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি থাকায় দ্রুত এ আসনে ভোট করতে চায় ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, ফখরুলের শূন্য আসনে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে(ইভিএম) ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। কারণ আগামীতে প্রায় সব নির্বাচন ইভিএমে করতে চায় সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র জানায়, বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ায় বিএনপি মহাসচিবের এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ। ফলে এ আসনটিতে নতুন করে ভোটের উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত পাঁচজন সংসদ সদস্য নানা নাটকীয়তার পর শপথ নিলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল শপথ নেননি। তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। এটা তাদের ‘কৌশলেরই অংশ’।

সংবিধানের ৬৭ (১) এর ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে ওই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে। তবে এ ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারেন।

একাদশ সংসদের কার্যক্রম ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়ায় ৯০ দিনের সেই সময়সীমা (২৯ এপ্রিল) সোমবার পেরিয়ে যায়। শেষ দিনে বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেন, তার তিন দিন আগে নেন অন্য একজন।

জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব শপথ নিতে কোন আবেদন না করায় ৩০ এপ্রিল রাতে সংসদ অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিতে অসমর্থ হওয়ায় তার আসনটি শূন্য হয়েছে।

জাতীয় সংসদের কোন আসন শূন্য হলে কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী তা সংসদকে জানাতে হয়; সেটাই জানান স্পিকার। কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮ (৩) বিধিতে বলা আছে, যদি কোন সদস্য তার আসন থেকে পদত্যাগ করেন কিংবা সংসদের অনুমতি না নিয়ে একাধিক্রমে ৯০ দিন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন,

কিংবা সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের (১) (ক) দফায় উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথগ্রহণ করতে ও শপথ-পত্রে স্বাক্ষর প্রদান করতে ব্যর্থ হন কিংবা অন্য কোনভাবে সদস্য না থাকেন, তাহলে সংসদ অধিবেশনে স্পিকার তা সংসদের গোচরে আনবেন। তবে শর্ত থাকে যে, সংসদ অধিবেশন না থাকলে পরবর্তী অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্পিকার সংসদকে জানাবেন যে, অধিবেশন মধ্যবর্তী সময়ে ওই সদস্য পদত্যাগ করেছেন বা সদস্যপদ হারিয়েছেন।

শেয়ার করুন: