আশ্রয়কেন্দ্রে না গেলে পুলিশ ধরে নিয়ে আসবে

কেউ যদি আশ্রয় কেন্দ্রে না যেতে চায় তাহলে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজনে পুলিশ তাদের কোলে করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, এসব কারণে পুলিশের ওপর কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত থেকে রক্ষা করতে ১৯ জেলার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ইতিমধ্যে। অনেকে নিজে থেকেও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। তবে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থেকেও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাইবেন না, জোর করে হলেও সরিয়ে নেওয়া হবে তাদের।

‘ফণী’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। তিনি জানান, আট নম্বর সতর্ক সংকেত দিলে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। ৩ হাজার ৩৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ লোককে নেওয়া যাবে। যদি কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে না চান, তাহলে জোর করে নেওয়া হবে। পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় মোট ২ হাজার ৪৮৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।