দেহরক্ষীকে বিয়ে করে রাণী বানালেন থাই রাজা

দেহরক্ষীকে বিয়ে করেছেন থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন। নিজের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর উপ-প্রধানকে বিয়ে করে রাণী ঘোষণা করেছেন ৬৬ বছর বয়সী এই রাজা। রাজকীয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণের কথা রয়েছে রাজা ভাজিরালংকর্নের। তার আগেই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সুতিদা তিদজাইকে বিয়ে করলেন তিনি।

২০১৬ সালে মাহা ভাজিরালংকর্নের বাবা ভূমিবল আদুলাদেজের মৃত্যু হয়। থাইল্যান্ডের এই রাজা ৭০ বছর ধরে অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসনে ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দেশের সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী রাজা হিসেবে অধিষ্ঠিত হন মাহা ভাজিরালংকর্ন।

এর আগে আরও তিনবার বিয়ে করেছেন মাহা ভাজিরালংকর্ন। তবে তিনবারই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তার। সাত সন্তান রয়েছে তার। রাজকীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল সুথিদা ভাজিরালংকর্ন না আয়ুধ্যাকে রাজকীয় সঙ্গী হিসেবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন। তাকে রাণীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে তিনি রাজ পরিবারের উপাধি ধারণ করবেন এবং রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।

সুথিদাকে দীর্ঘদিন ধরেই রাজার সঙ্গে জনসম্মুখে দেখা গেছে। কিন্তু তাদের সম্পর্ক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আগে কিছুই বলা জানানো হয়নি। থাই টিভি চ্যানেলে বুধবার রাতে তাদের বিয়ের ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেখানে রাজপরিবারের অন্য সদস্যদেরও দেখানো হয়েছে। সে সময় রাজাকে সুথিদার মাথায় পবিত্র পানি ছিটাতে দেখা গেছে। পরবর্তীতে তারা বিয়ের রেজিস্ট্রিতে স্বাক্ষর করেন।

২০১৪ সালে থাই এয়ারওয়েজের সাবেক বিমানবালা সুথিদাকে নিজের দেহরক্ষীর একটি ইউনিটের উপ-কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন ভাজিরালংকর্ন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সুথিদাকে রয়েল থাই সেনাবাহিনীর একজন পূর্ণাঙ্গ জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দেন রাজা।

শেয়ার করুন: