জৈনপুরী পীরের ভাইয়ের জঙ্গি আদলে তোলা ছবির অস্ত্র খেলনা!

জৈনপুরী পীর এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর ছোট ভাই নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর অস্ত্র হাতে জঙ্গি আদলে তোলা ছবির অস্ত্রগুলো আসল নয়। এগুলো খেলনা অস্ত্র বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অস্ত্র হাতে জঙ্গি বেশে তোলা নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর একটি ছবি গত দুইদিন আগে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তোলে। জাতীয় গণমাধ্যমসহ স্যোসাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় ছবিটি।

এ ঘটনার সাথে সাথে জেলার পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি আমলে নিয়ে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখে বিষয়টি। তবে, রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে জানা গেল ছবির ওই অস্ত্র দুটি খেলনা। পুলিশ নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর বাড়ি থেকে ওই খেলনা অস্ত্র দুটি উদ্ধার করেছে।

শহরের পাঠানটুলী এলাকায় নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর বাড়িতে রোববার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন শাহ পারভেজ গিয়ে ওই দুটি খেলনা অস্ত্রের সন্ধান পান।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ জানান, এটি কোন অভিযান নয়। অস্ত্রসহ ছবিটি ভাইরাল হয়ে আমাদের নজরে আসে। তার উপর তিনি মামলার আসামি, তাই তার বাড়িতে আমরা যাই।

তিনি বলেন, বাড়ির লোকজনের তথ্য মতে ওই দুটি খেলনা অস্ত্র। এছাড়া আসামির বাড়িতে একটি শিশুকে ওই সময় আমরা খেলনা অস্ত্র দুটি নিয়ে খেলতে দেখি। আমরা মামলার স্বার্থে খেলনা অস্ত্র দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি।

শহরের পাঠানটুলী এলাকায় এইচ এন এপারেলস লিমিটেড নামের একটি গার্মেন্টস কারখানায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল দিবাগত মধ্যরাতে একটি মামলা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা ওই মামলায় নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড়শ' জনকে আসামি করা হয়। মূলত এর পরই ওই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।

ছবিটিতে দেখা যায় কোন একটি রুমের বিছানায় বসে নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর হাতে নেয়া একটি পিস্তলের দিকে মনোযোগ, তার পাশেই একটি চাইনিজ রাইফেল দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড় করে রাখা। আর এই ছবি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড় হয়। ছবিটি কোথাকার, কিভাবে আসলো, এবং অস্ত্রগুলো বৈধ নাকি অবৈধ এমন নানা প্রশ্ন দানা বাধতে শুরু করে প্রশাসনের উচ্চ মহলে। এই রহস্য উদঘাটন করতে তদন্তে নামে পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থা।

অস্ত্রগুলো খেলনা হলেও যেহেতু নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর নামে মামলা রয়েছে, তাই তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে নানাভাবে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ।

এছাড়া কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর কোন ধরনের সম্পৃক্ততা আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন: