একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদ থাকবেন অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি সিএমএইচ হাসপাতালেই অবস্থান করতে চান বলে তাঁর বিশ্বস্তরা জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়টি সুরাহা করতে এরশাদ দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর ভাগ্নে সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। বর্তমানে সরকারের সঙ্গে জাতীয় পার্টি বিষয়ে দূতিয়ালি করছেন মন্ত্রী রাঙ্গা।
এরশাদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙ্গাকে পছন্দ করেন, সরকারের সাথে সুবিধা আদায়ের জন্য রাঙ্গাই এখন এরশাদের শেষ ভরসা। তাছাড়া এ প্রক্রিয়ায় সরকারের সঙ্গে রওশন এরশাদের দূরত্বও হবে কিছুটা। চতুর এরশাদ এবার রাজনীতির দাবা খেলায় কোনো ভাবেই পরাজিত হতে চাননা। একাদশ জাতীয় সংসদে এরশাদই হতে চান সর্বেসবা তা কোনভাবেই স্ত্রী রওশন নয়।
এদিকে, রোববার রাত পর্যন্ত এরশাদের সঙ্গে দফায়-দফায় কথা বলেন রাঙ্গা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে ৪৫টি আসন দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জানানো হয়। জাতীয় পার্টি শরিকদের জন্য অন্তত: আরও ৫টি আসন দাবী করেছেন। এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সাথে বেশ কয়েকটি ইসলামী দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এখন তাদের জন্যই আসনের দেন-দরবার চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে এরশাদের মনোনয়ন নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।
বর্তমানে ঐ আসনে সংসদ সদস্য আছেন আওয়ামী লীগের গাজী গোলাম দস্তগীর বীর বিক্রম। একটি শক্তিশালী শিল্প গ্রুপ গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে ঐ আসনে এরশাদকেই প্রার্থী করতে চান। ঐ শিল্প গ্রুপের আগ্রহকে এরশাদ বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। গোপন সূত্র জানায়, ঐ আসন থেকে এরশাদ নির্বাচন করলে জাতীয় পার্টির সিংহভাগ নির্বাচনী খরচ ঐ শিল্প গ্রুপ বহন করবে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ঐ শিল্প গ্রুপের সাথে কথা-বার্তা বলছেন।