ড. কামাল

বিশিষ্ট নাগরিকদের জন্য যে কয়টি আসন রাখতে চান ড. কামাল

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশে চলছে উৎসবের আমেজ। দীর্ঘ দিন পর জাতীয় নির্বাচনে দেশে প্রধান একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অংশ নেয়ায় এ আমেজ লক্ষ্য করা চাচ্ছে সর্বত্রই।

এবারে নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ নির্বাচন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে অংশ নিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ভোটে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে কিনা এ নিয়ে বিরোধী শিবির প্রচার চালাচ্ছিল। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্বাচনে দুই নম্বরি কেন ১০ নম্বরি হলেও ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবে। শনিবার (১৭ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তার এ ঘোষণায় এ ধারণা জাতীয়তাবাদী ও ঐক্যফ্রন্ট সমর্থকদের মধ্যে দৃঢ় হল যে, নির্বাচন থেকে কোন অবস্থাতেই সরে দাঁড়াবে না তারা। এরই মধ্যে প্রধান প্রধান দলগুলো ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা নেয়ার কাজ। এখন শুরু হয়েছে দলীয় মনোনয়ন নির্ধারণ করার কাজ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত পাঁচ শরিক জেএসডি, নাগরিক ঐক্য নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। নাগরিক ঐক্য ৩৫ আসনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করেছে। আর আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি ১৩০টিরও বেশি আসনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করেছে।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামও প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। আজ-কালের মধ্যেই সেটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের জন্য ২০-২৫ আসন দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন। ওই সব আসনে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হবে। এ ছাড়া কিছু চমকও থাকবে।

ভিন্নমতাদর্শের রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সফল ব্যক্তিদের ওই ২০ থেকে ২৫টি আসনে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। যাদের মধ্যে রয়েছেন, আইনজীবী শাহদীন মালিক, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম। তবে কৌশলগত কারণেই এখনই তাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানাতে চাইছেন না গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া গণফোরাম থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিককে সিলেট-১ আসন কিংবা ঢাকার একটি আসনে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণফোরামের একজন নেতা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দলের ১৫০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছেন তারা। যাদের কথা ভাবা হচ্ছে, তারা মনোনয়ন কিনেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেন দলের নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন, দেশের বিশিষ্ট ২৫ নাগরিককে এবার নির্বাচনে নির্বাচিত করে সংসদে নেয়া হবে। যাতে করে সংসদে গঠনমূলক আলোচনা হয়। জনগণের কথা সংসদে গিয়ে পৌঁছে। এ লক্ষ্যে দলের অন্য নেতাকর্মীদের মনোনয়নপত্র নেয়া ও চাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যেই বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি।

শেয়ার করুন: