দুর্নীতি একটি অভিশাপ। সমাজের সবক্ষেত্রে দুর্নীতি দেখা যায়। সরকারের উচ্চপর্যায়ে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করা হলে তা জাতীয় স্বার্থ, অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আপিল খারিজ করে পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৮ নভেম্বর) ৬৭ পৃষ্ঠার রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ নাজমুল হুদা দম্পতির আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করে ছিলেন। রোববার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে বলা হয়, আপিলের কোনো সারবত্তা পাওয়া যায়নি। আপিল খারিজ করা হলো। বাকি সাজা ভোগ করতে বিচারিক আদালতের রায়ের কপি গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ করবেন। এতে ব্যর্থ হলে বিচারিক আদালত তার গ্রেফতারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করে দুদক। এই মামলায় ওই বছরের ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত নাজমুল হুদার সাত বছর কারাদ- ও জরিমানা এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদ- দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট সাজার রায় বাতিল করেন।
তবে রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টকে আপিল শুনানি করতে নির্দেশ দেন। এরপর পুনরায় আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নাজমুল হুদার সাত বছর থেকে কমিয়ে চার বছর কারাদ- দেন। আর তার স্ত্রী তিন বছরের কারাণ্ডাদেশের যে সময়টুকু কারাগারে ছিলেন, তা সাজাভোগ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন।