বিএনপি

পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়া কে এই তরুণ?

রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ২টি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার সময় তোলা এক তরুণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে গেছে। তার পরিচয় শনাক্ত করতে এরইমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। তবে এখনো ওই তরুণের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে ওই তরুণ গুলশান থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক অপু বলে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঘটনার দিন গত বুধবার খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া তরুণ ছাত্রলীগের কেউ নয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন বলেন, গুলশান থানা ছাত্রলীগে অপু নামের কোনো নেতা নেই। কমিটিতে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন মাহাবুবুর রহমান মিথুন। বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের দোষ ছাত্রলীগের ঘাড়ে চাপাতেই এমন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে গুলশান থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মিথুন বুধবার (১৪ নভেম্বর) ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, এটা পুরোপুরি মিথ্যাচার। কেবল ছাত্রলীগকে হেয় করতেই এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহাগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (পূর্ব) খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, অগ্নিসংযোগকারী তরুণ যে ছাত্রলীগ নেতা নয়, তা আমরা নিশ্চিত। তার পরিচয় শনাক্ত করতে জোর চেষ্টা চলছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন ফরম বিক্রির মাঝে হঠাৎ সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের শোডাউন নিয়ে আসার পরই সংঘর্ষ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। পুলিশের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নেতাকর্মীদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরো নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। নেতাকর্মীরা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (১২ নভেম্বর) থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে। গত দুদিন মনোনয়নপত্র নিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এতে করে বিএনপি অফিসের সামনে ও তার আশপাশের এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে বুধবার (১৪ নভেম্বর) যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতেই সকাল থেকেই দেখা যায় পুলিশের ব্যারিকেড। তবে পুলিশের দাবি, ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছিলেন তারা।

শেয়ার করুন: