খালেদা

যেভাবে জেল থেকেও নির্বাচন করতে পারবেন খালেদা

পূর্বঘোষিত তফসিলের চেয়ে সাত দিন পিছিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। নানা জল্পনা কল্পনা শেষে নির্বাচনে আসছে বিএনপি। শুরু হয়েছে মনোনয়নের ফরম বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। প্রথম দিনেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এখন নির্বাচনের আগে বড় প্রশ্ন হচ্ছে ৩৬ মামলার বোঝা মাথায় রেখে নির্বাচন করতে পারবে কি খালেদা জিয়া? এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির আইনজীবীরা অবশ্য বলছেন দুই মামলার দণ্ডাদেশ স্থগিত হলে জেলে থেকেও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে বিএনপি চেয়ারপারসন ।

বিএনপির আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২০০৭-২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দুর্নীতি, যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, সহিংসতা, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহ এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এসব মামলার কয়েকটি স্থগিত, কয়েকটি বিচারাধীন এবং একাধিক মামলায় সাজা হয়েছে। সাজা প্রাপ্ত মামলা নিয়ে তৈরি হয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারার জটিলতা।

খালেদা জিয়া কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে জানতে চাইলে, বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আরও ৪টি মামলার জামিন নিশ্চিত করতে হবে। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ২টি মামলার দণ্ডাদেশ স্থগিত আদেশ পেলেই চলবে। বিএনপির এই আইনজীবী বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ৫ বছরের সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর সাজা করা হয়েছে। হাই কোর্ট ডিভিশন থেকে সাজার আদেশের নকল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। নকল পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করে দণ্ড স্থগিত চাইবো সাথে জামিনও চাইবো।

এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আরেকটি বিচারিক আদালত ৭ বছরের সাজা দিয়েছে। সেটা আমরা নকল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। এটাও পেলে একই ভাবে হাই কোর্ট ডিভিশনে আপিল দায়ের করে দণ্ড স্থগিত ও জামিন চাইবো। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপাতত চারটিতে জামিন প্রয়োজন হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ২ টি মামলা অর্থাৎ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দণ্ড স্থগিত আদেশ পেলে খালেদা জিয়া জেলে বসেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কোন বাধা থাকবে না।

অন্য দুইটি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাশকতা ও বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে কুমিল্লার আদালতে থাকা দুটি মামলার একটি সোমবারই হাই কোর্ট ডিভিশনে কার্য তালিকার শুনানির জন্য ছিল। আর ছাড়া যেটা হত্যা মামলা সেটা পরবর্তী তারিখ পড়েছে ২৫ নভেম্বর কুমিল্লা দায়রা জজ আদালতের কোর্টে। বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বলেন, আমরা আশা করি খুব দ্রুত সাজার আদেশের নকল পাবো। খালেদা জিয়ার দণ্ড আদেশ স্থগিত হবে আর উনি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

শেয়ার করুন: