ঈদ

‘রাজনীতি তোমার জন্য না বস, প্লিজ ফিরে এসো’

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

রবিবার (১১ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতার জন্য মাশরাফির মনোনয়নপত্র কেনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা-সমাচলোচনা চলছে।

সেখানে মাশরাফির ভক্ত সমর্থক এবং ক্রিকেট অনুরাগী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে।

ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেইসাধুবাদ জানিয়েছেন। আবার অনেকেই বিরুপ মন্তব্য করেছেন।

তবে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় বেশিরভাগ মাশরাফি ভক্ত ও ক্রিকেটপ্রেমী মানুষই তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ক্ষোভ, দুঃখ বা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত ছিল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। যদিও পেশাদার খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার উদাহরণ বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে নতুন নয়।

ক্রিকেটারদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিয়েই শ্রীলঙ্কার ২০১০ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন; পরবর্তীতে তিনি ওই নির্বাচনে জয়ীও হন তিনি।

মাশরাফিকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখক ও কলামিস্ট প্রভাষ আমিন লিখেছেন, আমার ধারণা সাকিবের মত মাশরাফিও নির্বাচন করা থেকে সরে দাঁড়াবেন। আগাম ধন্যবাদ। ক্রিকেটারদের পুরো মনোযোগ থাকুক খেলায়, বিশেষ করে বিশ্বকাপে।

লেখক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীরের ভাষায়, একজন খেলোয়াড় তার ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় অন্য পেশায় যেতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে এমপি হতে পারলে নিজের সুনাম, দেশকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া- দুটোর সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে যারা নাখোশ তারা মাশরাফির কাছে কী চান আল্লাহ জানে!

রমজান রাজ নামের একজন লিখেছেন, আমি চাইনা মাশরাফি বুড়ো বয়সে জেলে যাক, আমি চাই না দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার, ক্লিন ইমেজের মানুষটির দিকে আংগুল তাক করে কেউ কটু কথা বলুক! দেশের রাজনীতি তোমার মত ব্যক্তির জন্য না ‘বস’। প্লিজ ফিরে এসো ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে।

সুমনের ভাষায়, মাশরাফির মত মানুষের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক ডাকাত আর গুমখুনের সর্দারের সাফাই শুনতে হবে এটা ভেবে খারাপ লাগে।

তোফায়েল নামে একজন মনে করেন, মাশরাফির রাজনীতিতে আসলে দেশ নতুন কিছু দেখতে পারে। ম্যাশ এর প্রতি আমাদের ভরসা আছে সে দেশকে বদলে দিতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, ক্রিকেট ও রাজনীতি দুটো একসঙ্গে কারার নজির বিশ্বে আছে। এটা নিয়ে এতো হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

মো: নাফিস রহমান লিখেছেন, একটা মানুষ রাজনীতি করবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে এটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।

আলী মোহাম্মদ হোসেন লিখেছেন, ‘নেতা যদি হতেই চাও ইমরান খানের মত আলাদা দল গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হও, আমরা আছি তোমার সাথে।’

আরমান মালিক লিখেছেন, ‘মাশরাফির মত ভাল লোকগুলো রাজনীতিতে আসা উচিত, এরাই দেশকে বদলাবে!’ অনেকেই আবার মাশরাফির রাজনীতি যোগ দেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

শেয়ার করুন: