দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে আজ সোমবার বিএনপির মনোনয়ন পত্র বিক্রির সূচনা হয়। কিন্তু জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ বছর এবং ৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বেগম জিয়া বর্তমানে কারাগারে। যেহেতু কারাবন্দীদের মনোনয়ন পত্র কেনা থেকে শুরু করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া পর্যন্ত আলাদা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় তাই অন্যান্যদের মতো মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি সরল হবে না খালেদা জিয়ার জন্য।
আইন মোতাবেক, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী কেউ যদি কারাবন্দী হয় তাহলে তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হবে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। কারা কর্তৃপক্ষ এই মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করে সিল দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী কারাবন্দীর স্বাক্ষর নেবে। স্বাক্ষর নেওয়ার পর মনোনয়ন পত্র ভেরিফিকেশন করে আইনজীবীদের মাধ্যমে ইসিতে পাঠানো হয়।
এই প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে বিএনপির এখনই কাজ হবে তিনটি: ১। শুধু নির্বাচন ইস্যুতে খালেদা জিয়ার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া। ২। মনোনীত আইনজীবীর মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দরখাস্তসহ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন পত্র পাঠানো। কারা কর্তৃপক্ষ দরখাস্তসহ মনোনয়ন পত্রের নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই করে খালেদা জিয়াকে দেবেন এবং খালেদা জিয়া সেখানে স্বাক্ষর করবেন।
৩। স্বাক্ষরের পর ভেরিফিকেশনের পর মনোনয়ন পত্র আবার আইনজীবী মারফত নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া। উল্লেখ্য, কারান্তরীণ কারও জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র দেওয়া না হলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়। জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভেরিফায়েড মনোনয়নপত্রই কেবল গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।