বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বিএনপি ৭ ধারা বিলোপ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্টের আদেশে বিএনপির যে সংসদীয় গঠনতন্ত্র তা গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বিএনপিতে এখন বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং তারেক জিয়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপিতে এখন ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করবে কে? কারণ নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, দলের প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা থাকবে চেয়ারপারসনের কাছে। অথবা দলের চেয়ারপারসন যদি অন্য কাউকে অনুমোদন করেন। তাহলে তিনি চেয়ারপারসনের পক্ষে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতীক বরাদ্দের জন্য তৎকালীন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে লিখিতভাবে দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। কিন্তু এবার যেহেতু দলের চেয়ারপারসন এবং ভাইস চেয়ারম্যান নেই। সে কারণে নির্বাচনে যাওয়ার আগে বিএনপিকে অবশ্যই একজন নেতা নির্বাচন করতে হবে।
নেতা নির্বাচন না করলে বিএনপি প্রতীক বরাদ্দের অধিকার হারাবে এবং ধানের শীষ প্রতীকও পাবে না। এ বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হবে বলে সূত্রগুলো জানাচ্ছে। এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া এখন কারাগারে ও তারেক রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
সেহেতু দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই এখন দল পরিচালনা করছেন। দলের আনুষ্ঠানিক নেতা। তাই তার স্বাক্ষরেই হবে। নির্বাচন কমিশনের যদি কোন দূরভিসন্ধি থাকে। তাহলে তারা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে ঝামেলা করতে পারে। এটা যদি করে তাহলে সেটা হবে নির্বাচন কমিশনের অনেকগুলো নমুনার মতো আরেকটি।’