রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জনসভার আয়োজন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই জনসভায় বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ২টায় এই সমাবেশ শুরু হয়। রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানিয়েছেন, তারা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান। কিন্তু সে জন্য পেছাতে হবে তফসিল এবং মেনে নিতে হবে তাদের ৭ দফা দাবি। সমাবেশে নেতার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সাত দফা দাবি মানা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনী অংশ নিতে চায় ঐক্যফ্রন্ট, কিন্তু উস্কানি যেন না দেয়া হয়।
প্রথমবারের মতো ঐক্যফ্রন্টের কোন জনসভায় অংশ নিয়ে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ অভিযোগ করে জানিয়েছেন, জনসভায় আসতে তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমি কাদের সিদ্দিকী কিন্তু বিএনপি’র সভায় আসি নাই। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের সভায় এসেছি। আপনারা যদি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চান তবে আপনাদের ঐক্যফ্রন্টকে অটুট রাখতে হবে।
সবাইকে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থেকে দাবি আদায়ের আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর র সরকারকে উদ্দেশে বলেন, ‘সাত দফা না মেনে নির্বাচন বাংলাদেশে হতে পারে না। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করেন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন, রাজবন্দিদের মুক্তি দেন। আমাদের সাত দফা মেনে নেন।’
অসুস্থতার কারণে যোগ দিতে পারেননি ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। তবে তিনি মোবাইল ফোনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণার ফলে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে না। তড়িঘড়ি তফসিল ঘোষণা সংবিধান বিরোধী।
অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কারারুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দেশে কোন নির্বাচন হবে না। কোন তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না।’ সমাবেশে ঐক্যফ্রন্ট নেতার জানান, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন কিনা এ ব্যাপারে দু’একদিনের মধ্যে তাদের অবস্থার স্পষ্ট করবেন।