ড. কামাল

অবশেষে খালেদার নাম নিলেন ড. কামাল

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ জনসভা করল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর আগেও ঐক্যফ্রন্ট দুটি জনসভা করেছে। যার একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেটে, অপরটি চট্টগ্রামে। দুটি জনসভার একটিতেও নিজের ভাষণের সময় বেগম খালেদা জিয়ার নাম একটি বারের জন্য উচ্চারণ করেননি ড. কামাল হোসেন। সিলেটে ড. কামালের বক্তব্য শেষে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রশ্নের মুখে ড. কামাল বলেন, তিনি বেগম জিয়ার নাম বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর চট্টগ্রামে তো বক্তব্যে বেগম জিয়ার নাম বলতে অ

স্বীকৃতিই জানান ড. কামাল হোসেন। কিন্তু আজ ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় নিজ বক্তৃতার শুরু থেকে বেগম জিয়ার নাম জপলেন ড. কামাল। এতদিন ড. কামাল বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গালেও এখন বেগম জিয়ার নাম জপায় ঐক্যফ্রন্ট জোট বিএনপির কব্জায় চলে গেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। শুরুটা যেভাবেই হোক জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধীরে ধীরে বিএনপির পুরোপুরি করায়ত্ত করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, আজকের জনসভায় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির করায়ত্ত করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে দেখা দিল।

এর আগেই ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে জোটের মুখপাত্রের পদটি আ. স. আবদুর রবের কাছ থেকে নিজের কাছে নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর আজকের সমাবেশে লক্ষণীয় বিষয় ছিল, জনসভায় ছিল পুরোপুরি বিএনপির উপস্থিতি। নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী প্রায় সবাই ছিলেন বিএনপি। এর আগে ঐক্যফ্রন্টে দেখা যায়নি এমন অনেক বিএনপি নেতাও এসেছিলেন আজকের সমাবেশে। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টে নেই কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অনেক নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন আজকের ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে। সমাবেশে ছিলেন কল্যাণ পার্টিসহ ২০ দলের কয়েকটি দল।

ঐক্যফ্রন্ট ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিএনপি যা চাইছে ঐক্যফ্রন্টের শীষ নেতা ড. কামাল হোসেন তাই মেনে নিচ্ছেন। নিজের আহ্বায়ক পদটি বাঁচানোর জন্যই ড. কামাল বিএনপির সব কথা শুনছেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এতদিন ভাষণে বঙ্গবন্ধুর নাম দিয়েই বক্তব্য শুরু করেছেন ড. কামাল। বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বলেছেন। কখনোই কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেননি। কিন্তু আজকের ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে ড. কামাল তাঁর বক্তব্য শুরুই করেন বেগম জিয়াকে দিয়ে। বেগম জিয়ার মুক্তি চান ড. কামাল। একই সঙ্গে অন্যান্য বন্দীদেরও মুক্তি চান।

এই দাবিটি সম্পূর্ণই ছিল বিএনপির, যা আজ ধ্বনিত হলো ড. কামালের কণ্ঠেও। ড. কামাল আজকের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তারেক জিয়ার পক্ষেও কী অবস্থান নিলেন- প্রশ্নটি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এর আগে ড. কামাল হোসেন বারবার বলেছেন, তারেকের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। কিন্তু আজ কেন তাঁর কণ্ঠে ভিন্ন সুর। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বয়স যতই বাড়ছে, ততই ড. কামাল হোসেন বিএনপির কাছে নতজানু হচ্ছেন। বিএনপির নেতা হিসেবেই আবির্ভূত হচ্ছেন ড. কামাল।

শেয়ার করুন: