শামসুজ্জামান দুদু
শামসুজ্জামান দুদু

৭ নভেম্বরের পর দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট : দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী ৭ নভেম্বরের পর দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আপনাদের (আওয়ামী লীগ সরকারের) ভূমিকার ওপর নির্ভর করছে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে কি না। দুদু বলেন, আন্দোলন এখনো শুরু হয় নাই। ৭ নভেম্বরের আলোচনার পর দেশ কীভাবে চলবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সেটা নির্ধারণ করবে।

গণতন্ত্র কীভাবে আমরা ফিরাব তা নির্ধারণ করব। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি তো গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী দাবিদার। সংবিধানের কথা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যতবার বলেন অন্য কেউ এত বার বলে না। কিন্তু সংবিধানে আমার বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে, লেখার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে, সভা-সমাবেশে নিশ্চিত করা হয়েছে, আপনি তো সেটা মানেন না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে যে আইন করেছেন তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আপনি তা পাস করিয়েছেন। তাহলে সংবিধান এখন কোথায়? সাবেক এ ছাত্র নেতা বলেন, ‘ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুম অথবা নিখোঁজ। এখন আপনি যদি মনে করেন আপনার শাসনকালের পরে আর কোনো শাসনকাল নাই, সেটা ভুল করবেন।

সে শাসনকাল যখন পরিবর্তন হবে তখন তো আমরা আমাদের নেতাকর্মী যারা গুম, খুন হয়েছে তাদের ফেরত চাইব। ফেরত যদি না দিতে পারেন আসামির কাঁঠগড়ায় আপনাকে দাঁড়াতে হবে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে দুদু বলেন, জামিনযোগ্য মামলায় জামিন তো দেন নাই বরং তাঁকে রংপুরে নিয়ে তাঁর ওপর আপনার কর্মী বাহিনীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। মইনুল হোসেনের ওপর বন্দি অবস্থায় আক্রমণ করা হয়েছে।

এগুলা ভালো দৃষ্টান্ত না। এগুলো গণতান্ত্রিক শাসনের সঙ্গে যায় না। এগুলো স্বৈরশাসকের কাজ। আপনি নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করেবেন, স্বৈরশাসকের কাজ করবেন, দুইটা এক সাথে যায় না। জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সুকুমার বড়ুয়া, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, শাহবাগ থানা কৃষক দলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

শেয়ার করুন: