কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছেন। তিনি পরিবারের সদস্যসহ কাউকে চিনতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে এ সময়ে তার রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। আমরা এখন রাজনীতি নয়, তার চিকিৎসার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম এই কথা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমার ভাইয়ের অসুস্থতা নিয়ে অনেকেই মিথ্যা কথা বলছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসার কথা বলছে। এসব পুরোপুরি মিথ্যা কথা।
রোববার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম। সৈয়দ শাফায়াত মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ করে বড় ভাইকে নিয়ে অহেতুক গুজব না ছড়াতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে তিনি সৈয়দ আশরাফের জন্য দোয়া করতে সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন।
এদিকে সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম বক্তৃতায় না বললেও তিনি সৈয়দ আশরাফের স্থলে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন বলে নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন। কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
ওয়ান ইলেভেনে দলের কঠিন দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে সৈয়দ আশরাফ টানা দুইবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর স্ত্রী শিলা ইসলামের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মূলত ওই সময় থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে এবং দেশের নামী হাসপাতালেও তার চিকিৎসা করানো হয়। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরবর্তীতে গত কয়েক মাস ধরে তিনি ব্যাংককে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।