রাজধানীর মতিঝিলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক চলছে। বিশিষ্ট আইনজীব শাহদীন মালিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। কিছুক্ষণ আগে বৈঠকটি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। এর আগে স্বল্প পরিসরে সংলাপ আহ্বানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফের চিঠি দিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ধানমণ্ডি ৩ নম্বরে আওয়ামী লীগ অফিসের উদ্দেশে চিঠি নিয়ে রওনা দেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ অ ম শফিক উল্লাহ ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। এর পর দুপুর ১২টার দিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মাসুদ ও আলাউদ্দিন ঐক্যফ্রন্টের পুনরায় সংলাপ চেয়ে দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে মতিঝিলে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে স্বল্প পরিসরে সংলাপ চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করব, ভবিষ্যতে সংলাপের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা হবে। আমরা মনে করি, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের লক্ষ্যে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।’
এর আগে ১ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের প্রধানমন্ত্রী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ওইদিন গণভবনে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংলাপ হয়। পরে ১৪ দলের পক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়া লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে, তাদের সব কথা শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংলাপ কতটুকু সফল হয়েছে তা ড. কামালকে জিজ্ঞেস করুন সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে একটা বিষয় লেখা ছিল-গণতন্ত্রের স্বার্থে সংবিধান সম্মত সব বিষয়ে আলোচনা হবে। পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া হয় না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও নির্বাচনের সময় সংসদ বহাল থাকে। তফসিল ঘোষণার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অত্যন্ত খোলামেলা পরিবেশে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা যে যা বলতে চেয়েছেন, তারা তা নির্দ্বিধায় বলেছেন। একেকজন তিন-চার বার করেও বক্তব্য রেখেছেন। কেউ তাদের বাধা দেননি। নেত্রী তাদের বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শুনেছেন। তাদের কিছু অভিযোগ ছিল, আমরা ভদ্রচিতভাবে এগুলোর জবাব দিয়েছি। আমাদের সিনিয়র নেতারাও এ সময় বক্তব্য রেখেছেন।’
তিনি বলেন, আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের পরিস্কার বলে দিয়েছেন সভা, সমাবেশ ও মতপ্রকাশে কোন বাধা দেয়া হবে না। তবে কেউ যেন রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ না করেন। ঢাকার ব্যাপারে বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি কর্ণার করে দেয়া হবে, যেখানে ভাড়ার বিনিময়ে সবাই সমাবেশ করতে পারবেন। এই টাকাটা নেয়া হবে সমাবেশ পরবর্তী সময়ে পরিচ্ছন্নতার জন্য।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐক্যফ্রন্টের আরেকটি দাবি ছিল বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এই প্রযুক্তির ব্যবহারকে সমর্থন করি। তবে নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করবে।’
রাজনৈতিক মামলার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনারা রাজনৈতিক মামলাগুলোর তালিকা দিন।’ খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি আদালতের বিষয়, সংলাপে এটা আসতে পারে না। যে দুটি মামলায় সাজা হয়েছে, এগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছে। আমাদের সরকার এই মামলা দেয়নি। আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা ছিল। এগুলোর প্রত্যেকটির তদন্ত হয়ে কিছু না পেয়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে আলোচনায় ড. কামাল হোসেন সাহেবকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ৭৩ সাল থেকে আপনিও অনেকগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একমাত্র ২০০১ সালে ছাড়া আর কোন নির্বাচনে কি সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা ছিল?’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আলোচনায় বেশ কিছু অগ্রগতি রয়েছে। ড. কামাল হোসেন সাহেব আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি আলোচনায় সন্তুষ্ট। এখানে এসে এমন অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, যা আগে তিনি জানতেন না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেছেন, আবারো ছোট পরিসরে আলোচনা করতে চাইলে যেকোন সময় তারা আসতে পারেন। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না।’ এর আগে গণভবনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের উন্নয়ন দৃশ্যমান উল্লেখ করে দেশের অগ্রযাত্রায় সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এটার বিচারের ভার আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম। নয় বছর ১০ মাস হতে চলল আমরা সরকারে, এই সময়ের মধ্যে দেশের কতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছি, সেটা নিশ্চয় আপনারা বিবেচনা করে দেখবেন।’ ‘তবে, এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে,’ -যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সংলাপের জন্য নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭টার আগেই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ ২০ সদস্যের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ সংলাপে যোগ দিতে গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে আসেন। প্রধানমন্ত্রী ৬টা ৫৭ মিনিটে গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে প্রবেশ করেন। আসন গ্রহণ করার পর তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে সালাম দেন। তিনি বলেন, ‘গণভবন জনগণের ভবন, এখানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে অনুষ্ঠানে আপনারা এসেছেন- আমি এটুকু বলতে পারি যে, বাংলাদেশের জন্য আজকে আমরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের সকলের। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিন বদলের যে সূচনা আমরা করেছিলাম, দিন বদল হচ্ছে এটাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে সে স্বাধীনতার সুফল যেন প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারি সেটাই একমাত্র লক্ষ্য, আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে ১৪ দলীয় ঐক্যজোটের ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ড. কামাল হোসেন ঐক্য ফ্রন্টের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দলীয় জোটের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জেএসডি’র একাংশের নেতা মইনুদ্দিন খান বাদল, আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ও রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এস এম রেজাউল করিম।
ঐক্যফ্রন্ট প্রতিনিধি দলে বিএনপি’র পাঁচজন নেতা রয়েছেন। তারা হলেন- মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং সুলতান মো. মনসুর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টকে ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আজ সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন গত ২৮ অক্টোবর সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালে এ বিষয়টি সামনে চলে আসে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ৭ দফা দাবি ঘোষণা করেছে।
এদিকে রবিবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব কিছুটা ঘুচেছে। ছোট পরিসরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তবে সংলাপে বেশি সময় নিতে চাই না। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। একই সময়ে সভা-সমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ করতে বাধা নেই।