তারেক রহমানের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দুর্নীতির একটি মামলায় দুই আদালতে সাজা হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী বিএনপি প্রধান নির্বাচনের অযোগ্য বলে জানিয়েছেন দুদক। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভোটারই নন এবং লন্ডনে বসবাস করছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ফলে তিনি চাইলেও আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি সহ পরিবারের তিন জন।
সূত্র জানায়, কোন ভাবেই আগামী সংসদ নির্বাচনে পরিবারের এই তিনজন ভোটে আসতে পারবেন না। তবে তার পরিবারে অন্য সদস্যারা বাংলাদেশের ভোটার ও সাজা প্রাপ্ত আসামি না হলে ভোটে প্রার্থী হতে পারবে। সে ক্ষেত্রে বিদেশে বসেও অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন । তাদের স্বশরীরে আসতে হবে না। ইসি আচরণ বিধিতে পরিবর্তন আনায় অনলাইনে বসে পৃথিবির যে কোন যায়গা থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের সংশোধনী গ্রহণ বিষয়ে আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন। আদালতের বেঁধে দেয়া এক মাস সময়ের মধ্যে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দলের সদস্যপদে রাখতে এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে গঠনতন্ত্র থেকে সাত নম্বর ধারা তুলে দিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে বিএনপি।
সংশোধীত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি। আর বিএনপির গঠনতন্ত্রের এ সংশোধনীটি গ্রহণ না করতে বুধবার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। বিএনপির গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আদালতের নির্দেশনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেহেতু আদালতের পর্যবেক্ষণ রয়েছে সেহেতু কমিশন সভায় এটা উপস্থাপন করব।
আদালত যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য। বিএনপির আবেদন ইসি গ্রহণ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা পেয়েছি আমাদের নথিতে আছে। যেহেতু আদালতের পর্যবেক্ষণ আছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কমিশনে উপস্থাপন করব। যেহেতু হাইকোর্ট এক মাস সময় দিয়েছে, এক মাসের মধ্যে আমরা নিস্পত্তি করব।