ড. কামাল

নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব

সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘জ্বালাও পোড়াও কোন আন্দোলন হতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই আন্দোলন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব।’ শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর ইডেন কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত গণফোরামের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জনগণের ঐক্য গড়ে উঠেছে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে। রাজনৈতিকভাবে ঐক্য থাকলে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করা যায়। ঐক্যফ্রন্টের দাবি পূরণে প্রয়োজনে আরও সংলাপ হতে পারে জানিয়ে গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এ নেতা বলেন, যারা দেশের মালিককে অস্বস্তিতে রাখতে চায়, তার বিরুদ্ধে ঐক্য থাকলে সেই শাসকদের অবস্থা খারাপ হয়।।

এর আগে শুক্রবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে বর্তমান সংবিধানের আলোকেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যে ঐক্যের কথা আমরা বলছি, সেই ঐক্যবদ্ধভাবে বসলে মন খুলে যদি আমরা আলাপ আলোচনা করি, যে লক্ষ্যগুলো আছে, সংবিধানে আছে, সেটাকে মানতে হবে যে, এই লক্ষ্যগুলো আমরা অর্জন করবো।

এখানে ব্যক্তি স্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ, পরিবারের স্বার্থ না; জাতীয় স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ। এই ভিত্তিতে সবকিছুই করা যায়। যেসব ব্যাপারকে লক্ষ্য করে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি করছি, এর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কিছু বলা কঠিন।’ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এসে ভাবতে হচ্ছে, জনগণ কী পেল? এমন প্রশ্নে রেখে তিনি বলেন, ‘যারা উন্নয়নের কথা বলেন, তারাই বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন, আবার কেউ নিঃস্ব হয়েছেন। তাই নতুন করে বাঁচতে জনগণের স্বার্থেই জাতীয় ঐক্য তৈরি করা হয়েছে। তবে আগামী দিনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’

বঙ্গবন্ধু কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ দেশের সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। জনগণই এ দেশের মালিক। ১৯৭১ সালেও এই জনগণই অস্ত্র ছাড়াই রুখে দিয়েছে পাকিস্তানিদের। আমরা ভয় করি না। জনগণ আবার জেগেছে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। বৈষম্যমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য।’

শেয়ার করুন: