তারেক রহমান
তারেক রহমান

নতুন মহাসচিব খুঁজছেন তারেক!

সংলাপ নিয়ে হতাশ তারেক জিয়া। গতরাতেই তিনি একাধিক নেতার কাছে ফোন করে সংলাপের পূর্ণ বিবরণ নিয়েছেন। সংলাপে বিএনপি নেতাদের পারফরমেন্সে নাখোশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে টেলিফোন করে তারেক জিয়া বলেছেন, ‘আপনারা কি দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন?’ মির্জা আব্বাসকেও টেলিফোন করে বলেন, ‘আপনারা তো আমাদের দাবিগুলোই ঠিকমতো তুলে ধরতে পারলেন না।

গেলেন ওনার( প্রধানমন্ত্রীর) কথা শুনে চলে আসলেন।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মির্জা আব্বাসও স্বীকার করেছেন যে, সংলাপে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের হোমওয়ার্ক এবং প্রস্তুতি ভালো ছিলো না। মির্জা আব্বাস তারেক জিয়াকে বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে আরও প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিলো।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, তারেক বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললেও দলের মহাসচিবের সঙ্গে কোন কথা বলেননি। গত কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে দুরত্ব চলছে। বিএনপি’র একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। একাধিক নেতাকে তিনি বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ডুয়েল গেম খেলছেন।’

একটি সূত্র জানিয়েছে, গত একমাস ধরেই তারেক নতুন মহাসচিব খুঁজছেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বিএনপির মহাসচিব করার ব্যাপারে মোটামুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন।

এ ব্যাপারে তারেক একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, এই তথ্যটি কেউ সরকারকে ফাঁস করে দেয়। সেই প্রেক্ষিতেই সরকার খসরুকে পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার করে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চায় মির্জা ফখরুলই বিএনপি মহাসচিব হিসেবে নির্বাচন পর্যন্ত থাকুক। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

মির্জা ফখরুল যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করছেন, তা তারেক জিয়াও জানেন। বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং সংলাপ ইত্যাদি বিষয়ে মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে তারেকসহ বিএনপির একাধিক নেতা মনে করেন। এজন্য তারেক বিকল্প মহাসচিব খুঁজছেন।

কিন্তু এখনো আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়া গ্রহনযোগ্য কাউকে খুঁজে পাননি তারেক। বিএনপির আরেক নেতা নজরুল ইসলাম খানকে মহাসচিব হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে তাঁর গ্রহনযোগ্যতা নেই।

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামও আলোচনায় আসে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিজভীকেও তারেক মহাসচিব পদের জন্য যোগ্য মনে করেননা। বিএনপিপন্থি একজন নেতা বলেছেন, যাকেই তারেক পছন্দ করেন তাঁর উপরই মামলার খড়গ নেমে আসে। ফলে মির্জা ফখরুলকেই থাকতে হচ্ছে বিএনপিতে।

তবে বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসল চেহারা স্পষ্ট হয়ে যাবে।। তখনকার পরিস্থিতে বিএনপি হয়তো নতুন মহাসচিব খুঁজে নেবে। তার আগে এই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মহাসিচিব পরিবর্তন সম্ভব না বলেই মনে করছে বিএনপিতে তারেক পন্থীরা।

শেয়ার করুন: