মওদুদ

মওদুদ সাহেব মনে আছে তো? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টার সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানিয়েছে। ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে ঐক্যফ্রন্ট। তবে এই জোটের অন্যতম শরিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, আমি খুব সন্তুষ্ট নই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ নেতা। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।

এদিকে সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন নিজেদের ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা মনযোগ সহকারে তাদের দাবিগুলো শোনেন।

দীর্ষ আলোচনার এক পর্যায়ে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া ও রাজনৈতিক মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তবে খালেদা জিয়ার বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার করেই বলেছেন, এটা তো আইনি বিষয়। আমার হাতে নেই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেন। তিনি ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার সন্তান আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর গুলশানে গিয়েছিলেন, সে সময় তাকে গুলশানে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি সংলাপে উপস্থিত মওদুদ আহমদের প্রতি ইশারা করে বলেন, মওদুদ সাহেব তো ওই সময় ছিলেন। কিন্তু আসেননি।

নিজের বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সংবিধান বিষয়ে আলোচনা করেন। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ওই সময় তো আমি দোতলায় ছিলাম।

Source : Go News 24

শেয়ার করুন: