হঠাৎ করেই রাজধানীতে চিজ কেকের চাহিদা এবং দাম দুটোই বেড়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগের সংলাপের ফাঁকে নৈশভোজে চিজ কেক খান ড. কামাল হোসেনরা। কেকটি ড. কামাল হোসেনর খুব প্রিয় খাবার। তার জন্য রেডিসন ব্লু গার্ডেন হোটেল থেকে খাবারটি আনা হয়। বৃহস্পতিবার গণভবনের সংলাপের সাথে বেশ আলোচনা হয় ১৭ পদের খাবার নিয়ে। এর মধ্যে চিজ কেক ছিলো আলোচনার শীর্ষে। দোকনিরা বলছেন, সংলাপের পর হঠাৎ বেড়েছে এই কেকের চাহিদা। যেসব দোকানে বিক্রি হয় না, সেগুলোতেও ক্রেতারা এসে খোঁজ করছেন পণ্যটির ব্যাপারে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এমনিতে বাজারে চাহিদায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে চকলেট কেক। এরপর চাহিদা আছে প্লাম কেক, ফ্রুট কেক, মিক্সড ফ্রুট কেক, ভ্যানিলা কেক। সেদিক থেকে বেশ পেছানো চিজ কেক। কিন্তু একদিনের মধ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়াটায় বেশ অবাক হয়েছেন বিক্রেতারা।
তেমন চাহিদা না থাকায় অনেক দোকানিই রাখেন না কেকটি। তবে কারও কারও কাছে কেকটি পাওয়া যায় কেবল নির্দিষ্ট কিছু ক্রেতার জন্য। কিন্তু হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও অনেকেই রাখতে শুরু করেছেন চিজ কেক। আর এই সুযোগে দামটাও নিচ্ছেন একটু বাড়িয়ে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকার হক বেকারিতে চিজ কেক মেলে নিয়মিত। তাই বলে চাহিদা বেশি আছে তা নয়। নির্দিষ্ট কিছু ক্রেতার চাহিদা মেটাতেই রাখা হয় কেকটি।
একই এলাকার আরেক দোকানি মিজানও একই কারণে রাখেন চিজ কেক। তিনি বলেন, ‘আমার কিছু কাস্টমার আছে, যারা এই কেকটা চায়। সব মাল আমার থেকে নেয়, কেকের জন্য আরেক জায়গায় যাইব কেন? তাই রাখি। বেশি রাখা হয় না, চলে না।‘ তবে হঠাৎ করে চাহিদা বাড়ার কথাও জানালেন মিজান। আরেক দোকানিদের বলেন, চিজ কেক বলতে কিছু আছে তা তাদের জানা ছিল না। কিন্তু ক্রেতারা হঠাৎ চাইছেন।