গয়েশ্বর
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

গণভবনে গয়েশ্বরের অনুপস্থিতির কারণ...

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। বহুল আলোচিত এই সংলাপে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে রওনা হয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলটি। ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা একে একে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গণভবনে পৌঁছান। গণভবনে সর্বপ্রথম আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার ও আব্দুল মঈন খান। তাদের কাছাকাছি সময়ে আসেন ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর আসেন অন্যরা।

সংলাপে অংশ নিতে সবার শেষে গণভবনে পৌঁছান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে গণভবনে আসেন তিনি। ঐক্যফ্রন্টের ২১ জনের মধ্যে ২০ জন সংলাপে অংশ নিলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অংশ নেননি। প্রথমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সংলাপে অংশ নেয়ার কথা ছিল ১৬ জনের। সেই তালিকায় নাম ছিল না গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আব্দুল মঈন খানের। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আরো ৫ জনের নাম পাঠানো হয় আওয়ামী লীগের কাছে।

যে তালিকায় নাম দেয়া হয় বিএনপির ওই দুই নেতা এবং তিনজন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তারা হলেন; মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আ ও ম শফিক উল্লাহ। গণভবনে গয়েশ্বরের অনুপস্থিতির কারণ জানতে তাকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, প্রথম তালিকায় নাম না থাকার কারণে তিনি হয়তো রাগ করে অংশ নেননি। অথবা আর অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে।

গয়েশ্বরের অনুপস্থিতির কারণে সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ বলছেন, গয়েশ্বরের নাম প্রথমে না থাকার কারণে তিনি আসেননি। আবার কেউ বলছেন, এতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা আওয়ামী লীগের সামনে চলে আসলো। গণভবনে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ২৩ জনই উপস্থিত আছেন। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেন। ঐক্যফ্রন্টের ২০ জনের মধ্যে বিএনপি থেকে সংলাপে প্রতিনিধি আছেন ৬ জন।

শেয়ার করুন: