বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) আদালত এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেব দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী।
দেশের একটি বেসরকারী চ্যানেলের খবরে এ প্রকাসশিত সংবাদে এ খবর প্রচার করা হয়। খবরে জানান হয়, বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭-এর 'গ' ধারায় বলা ছিল দণ্ডিত, দুর্নীতিপরায়ণ বা দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি দলের কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি বিএনপির কোনো পর্যায়ের কমিটির সদস্য কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।
খবরে আরও জানান হয়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। সেই সঙ্গে তার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে দেওয়া হয় ১০ বছর করে কারাদণ্ড। ফলে দলের শীর্ষ দুই নেতার পদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু সেই বিপদ এড়াতে রায় ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহ আগে গত ২৮ জানুয়ারি বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। যদিও সেখানে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে এসব সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
আট পৃষ্ঠার ওই সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে দলীয় চেয়ারপারসন ও কাউন্সিল অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে খালেদা জিয়া ইসিতে পাঠানো চিঠিতে লিখেন, উপরোক্ত সংশোধনীগুলো কাউন্সিলের অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হলে কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করে। একই সঙ্গে কাউন্সিলের গৃহীত সংশোধনী অনুযায়ী অনুচ্ছেদ ও উপ-অনুচ্ছেদগুলোর ক্রমিকের অনিবার্য পরিবর্তন, ভাষা ও ছাপার ভুলগুলো সংশোধন করার প্রস্তাবও কাউন্সিলের অনুমোদিত হয়।
খবরে বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হবে বিষয়টি মাথায় রেখেই রায়ের প্রায় এক মাস আগে দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা ছাড়াই গঠনতন্ত্রের ওই ধারাটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিএনপি। বেগম জিয়ার দণ্ড হওয়ার পর তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয় দলটি। যিনিও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন এবং দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব দেয়ায় গঠনতন্ত্রের এ সংশোধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করে নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করা এক ব্যক্তি। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। খবরে আরও বলা হয়, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র এরইমধ্যে গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরও হাইকোর্টের আদেশ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বিএনপিপন্থি আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে নির্দেশিত হয়ে আদেশটি দিলেন নাকি আইনগতভাবে আদেশটি দিয়েছেন সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো।’ গত ২৮ জানুয়ারি সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়
ফাইল ফটো
বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) আদালত এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেব দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী। দেশের একটি বেসরকারী চ্যানেলের খবরে এ প্রকাসশিত সংবাদে এ খবর প্রচার করা হয়।
খবরে জানান হয়, বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭-এর 'গ' ধারায় বলা ছিল দণ্ডিত, দুর্নীতিপরায়ণ বা দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি দলের কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি বিএনপির কোনো পর্যায়ের কমিটির সদস্য কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।
খবরে আরও জানান হয়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। সেই সঙ্গে তার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে দেওয়া হয় ১০ বছর করে কারাদণ্ড। ফলে দলের শীর্ষ দুই নেতার পদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু সেই বিপদ এড়াতে রায় ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহ আগে গত ২৮ জানুয়ারি বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। যদিও সেখানে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে এসব সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
আট পৃষ্ঠার ওই সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে দলীয় চেয়ারপারসন ও কাউন্সিল অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে খালেদা জিয়া ইসিতে পাঠানো চিঠিতে লিখেন, উপরোক্ত সংশোধনীগুলো কাউন্সিলের অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হলে কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করে। একই সঙ্গে কাউন্সিলের গৃহীত সংশোধনী অনুযায়ী অনুচ্ছেদ ও উপ-অনুচ্ছেদগুলোর ক্রমিকের অনিবার্য পরিবর্তন, ভাষা ও ছাপার ভুলগুলো সংশোধন করার প্রস্তাবও কাউন্সিলের অনুমোদিত হয়।
খবরে বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হবে বিষয়টি মাথায় রেখেই রায়ের প্রায় এক মাস আগে দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা ছাড়াই গঠনতন্ত্রের ওই ধারাটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিএনপি। বেগম জিয়ার দণ্ড হওয়ার পর তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয় দলটি। যিনিও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন এবং দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব দেয়ায় গঠনতন্ত্রের এ সংশোধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করে নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করা এক ব্যক্তি। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। খবরে আরও বলা হয়, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র এরইমধ্যে গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরও হাইকোর্টের আদেশ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বিএনপিপন্থি আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে নির্দেশিত হয়ে আদেশটি দিলেন নাকি আইনগতভাবে আদেশটি দিয়েছেন সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো।’ গত ২৮ জানুয়ারি সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়