নারিকেল

নারকেল পেড়ে আনে প্রশিক্ষিত বানর!

গাছ বেয়ে উঠে নারকেল পেড়ে আনা সোজা কথা নয়। আমাদের দেশে গ্রাম-গঞ্জে এ কাজটি করেন এক শ্রেণির পেশাজীবী মানুষ। কিন্তু থাইল্যান্ডের কোচ সামুই দ্বীপের চিত্র পুরোপুরি আলাদা। সেখানে নারকেল পেড়ে আনে বানর। সেখানকার অধিবাসীরা আজ থেকে নয়, বংশ পরম্পরায় এ কাজটি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। কাজেই জীবিকা নির্বাহে তাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে বানরগুলো।

শুধু নারকেল পেড়েই আনে না, সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়েও দেয় তারা। পানিতে পড়লে তুলে আনে। বানরগুলো যেন পালাতে না পারে তার জন্যে গলায় রশি দেয়া থাকে। মনিবের কথায় চোখের পলকে পঁচিশ ফুট উঁচু একটি নারিকেল গাছে উঠে যায় চার্লি।

সে একটা বানর। দক্ষতার সঙ্গে একের পর এক নারকেল পেড়ে মাটিতে ফেলে সে। এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে যায় নিজস্ব ঢংয়ে। এভাবে অনেক কম সময়ের মধ্যে প্রচুর নারকেল সংগ্রহ করে তারা। তার পর মাটিতে পড়া সব নারকেল কুড়িয়ে এনে এক জায়গায় সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার কাজটি তারাই করে।

কোচ সামুই দ্বীপে অনেক ছোটবেলা থেকে বানরদের এ কাজে প্রশিক্ষণ চলে। বয়স এগারো মাস হলেই শুরু হয় প্রশিক্ষণ। ছয় মাস পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলে তাদের। নারকেল পাড়তে দক্ষ হয়ে ওঠে তারা। কিন্তু বাঁদরামি যাদের স্বভাবজাত বিষয়, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া কি সোজা কথা! তাই সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বানর প্রশিক্ষণ দেয়ার স্কুল।

শেয়ার করুন: